Re: প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
''আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি,অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়,অতঃপর মিথ্যা তত্ক্ষণাত্ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।'' [সূরা আম্বিয়া: ১৮]
এই মেঘ এই রোদ্দুর
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
''আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি,অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়,অতঃপর মিথ্যা তত্ক্ষণাত্ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।'' [সূরা আম্বিয়া: ১৮]
يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ
যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর।(আল কোরআন ৮১/১৯)
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য হত্যার ব্যাপারে কিসাসের বিধান লিখে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি হত্যা করে থাকলে তার বদলায় ঐ স্বাধীন ব্যক্তিকেই হত্যা করা হবে, দাস হত্যাকারী হলে ঐ দাসকেই হত্যা করা হবে, আর নারী এই অপরাধ সংঘটিত করলে সেই নারীকে হত্যা করেই এর কিসাস নেয়া হবে। তবে কোন হত্যাকারীর সাথে তার ভাই যদি কিছু কোমল ব্যবহার করতে প্রস্তুত হয়, তাহলে প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী রক্তপণ দানের ব্যবস্থা হওয়া উচিত এবং সততার সঙ্গে রক্তপণ আদায় করা হত্যাকারীর জন্য অপরিহার্য। এটা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে দন্ড হ্রাস ও অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করবে তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। হে বুদ্ধি – বিবেক সম্পন্ন লোকেরা! তোমাদের জন্য কিসাসের মধ্যে জীবন রয়েছে। আশা করা যায়, তোমরা এই আইনের বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে সতর্ক হবে। -(বাকারা ১৭৮-৭৯)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এক সাহাবীকে সালাত শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন, যখন তুমি সালাতে দাঁড়াবে, তখন তাকবীর বলবে, অতঃপর কুরআন থেকে যতটুকু তোমার পক্ষে সহজ ততটুকু পাঠ করবে, এরপর রুকূতে যাবে ও ধীর স্থিরভাবে রুকূ আদায় করবে। তারপর রুকূ থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। ধীর স্থিরভাবে সিজদা করবে। এরপর সিজদা থেকে উঠে স্থিরভাবে বসবে এবং পুররায় সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে। তারপর পূর্ণ সালাত এভাবে আদায় করবে।
[বুখারী, ৭৫৭]আর এক হাদিসে উল্লেখ আছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সিজদা, রুকূ ও দু'সিজদার মধ্যে বসা সমান হতো।
[বুখারী, ৭৮২]
মহান আল্লাহ বলেন, "আর তাদেরকে এই মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা যেন আল্লাহর দ্বীনের প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে কেবল তাঁরই বন্দেগী করে, আর তারা যেন (একাগ্র চিত্তে) নামায কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে আর এটাই হলো সঠিক সুদৃঢ় বিধান ( সুরাঃ বাইয়্যেনাহ -০৫)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা যতটুকু সামর্থ্য রাখ ততটুকুই তোমাদের করা উচিৎ। আল্লাহ্র কসম ! আল্লাহ্ তাআলা ততক্ষন পর্যন্ত (সওয়াব দিতে) বিরত হন না, যতক্ষন না তোমরা নিজেরা ক্লান্ত হয়ে পড়। আল্লাহ্র কাছে সবচাইতে পছন্দনীয় আমল তা-ই যা আমলকারী নিয়মিত করে থাকে।
[বুখারী, ৪১]
আ্মিরুল মোমেনিন উমর ইবনে খাত্তাব বর্ণনা করেনঃ আমি রাসুলে মাকবুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সকল কাজের প্রতিফল কেবল নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তিই নিয়্যত অনুসারে তার কাজের প্রতিফল পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলে (সন্তুষ্টির) জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির জন্য সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।পক্ষান্তরে যার হিজরত দুনিয়া হাসিল করা কিংবা কোনো নারীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হবে তার হিজরত সে লক্ষ্যেই নিবেদিত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
যারা মনে প্রাণে ঘোষনা করে যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু (রব্ব) এবং তারা এ কথার উপর অবিচল থাকে,নিঃসন্দেহে তাদের নিকট ফেরেশতা অবতরণ করে বলতে থাকে, (তোমরা) ভয় পেওনা,দুশ্চিন্তা করোনা;বরং জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো, যার সুসংবাদ তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু আর পরকালেও। সেখানে (জান্নাতে) তোমাদের মন যা কিছুই চাইবে, আকাংখা করবে তা সবই পাইবে। এসব সেই আল্লাহর পক্ষ থেকে মেহমানদারী হিসেবে পাবে, যিনি অতীব ক্ষমাশীল ও দয়াবান। (সূরা হা-মীম আসসেজদা ৩০-৩২)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেনঃ রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহিমান্বিত প্রভুর সুত্রে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ আল্লাহ তায়ালা সৎকাজ ও পাপ কাজের সীমা চিহ্ণিত করে দিয়েছেন এবং সেগুলোর বৈশিষ্ঠ্য স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের সংকল্প করেও এখন পর্যন্ত তা সম্পাদন করতে পারেনি, মহা মহিম আল্লাহ তার আমলনামায় একটি পুর্ণ নেকী লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন আর সংকল্প পোষনের পর যদি উক্ত কাজটি সম্পাদন করা হয় তাহলে মহান আল্লাহ তার আমলনামায় ১০টি নেকী থেকে শুরু করে সাত শত, এমনকি তার চেয়েও কয়েক গুন বেশী নেকী লিপিবদ্ধ করে দেন। আর যদি ইচ্ছে পোষনের পরে খারাপ কাজটি করেই ফেলে তাহলে তার আমলনামায় শুধু একটি পাপই লিখে রাখেন। (মুসলিম ও বুখারী)
হযরত আবু যার ও মুয়ায ইবনে জাবাল (রা) বর্ণনা করেনঃ আখেরী নবী হযরত মোহাম্মদ (সা) বলেছেনঃ তুমি যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং মন্দ কাজ করে বসলে সাথে সাথে ভাল কাজ করো। তাহলে ভাল কাজ মন্দ কাজকে মুছে ফেলবে আর মানুষের সাথে সদাচরণ করো। (তিরমিযি)
হযরত আবু উমামা সুদাই ইবনে আজলান বাহিলী (রা) বর্ণনা করেনঃ আমি রাসুলে আকরাম (সাঃ)’র বিদায় হজ্জের ভাষন শুনেছি । তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করো রমজানের রোযা পালন করো,স্বীয় মালের যাকাত দাও এবং নিজেদের শাসকের (বৈধ) নির্দেশ মেনে চলো। তাহলে তোমরা স্বীয় রব্ব এর জান্নাতে প্রবেশ করবে। ( ইমাম তিরমিযী তার কিতাবুস সালাত গ্রন্থে এ হাদিসটি উল্লেখ করেছেন একে হাসান ও সহীহ হাদিস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মহান আল্লাহ বলেনঃ ( জাহান্নামে ণিক্ষিপ্ত লোকেরা যখন দুনিয়ায় আবার ফিরে এসে দ্বীনের পথে চলার জন্য আল্লাহ’র কাছে ফরিয়াদ করবে, তখন তাদেরকে বলা হবে)ঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন বয়স দেইনি, যাতে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারত ? আর তোমাদের কাছে সাবধানকারীওতো এসেছিল। ( সূরা ফাতিরঃ ৩৭ )
হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেনঃ রসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ তোমরা মুহুর্তকাল বিলম্ব না করে সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাও; কারণ খুব শীঘ্রই অন্ধকার রাতের মত অশান্তি বিশৃঙখলা দেখা দিবে। তখন মানুষ সকাল বেলা মুমিন থাকবে তো সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে। আবার সন্ধ্যায় মুমিন থাকবেতো সকাল বেলা কাফের হয়ে যাবে। সে তার দ্বীন জাগতিক সম্পদের বিণিময়ে বিক্রি করে দিবে। (মুসলিম)
মহান আল্লাহ রহমানুর রহিম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে, আল্লাহ তাকে (দুঃখ-কষ্ট থেকে) মুক্তির পথ বের করে দেন এবং যে স্থান সম্পর্কে সে ধারনা করেনি সেখান থেকে তিনি জীবিকা প্রদান করেন। (সূরা তালাক্ব ২ ও ৩)
হযরত আবু বাকরাহ নুফাই' ইবনে হারিস সাকাফী বর্ণনা করেনঃ রাসুলে মাকবুল (সা) বলেছেনঃ যখন দু'জন মুসলমান তরবারী কোষমুক্ত করে পরস্পর লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত দুই উভয়েই জাহান্নামের যোগ্য হয়ে যায়। আমি নেবদন করলাম; হে আল্লাহর রসুল, হত্যাকারীর জাহান্নামের হকদারতো বুঝলাম কিন্ত নিহত ব্যক্তি জাহান্নামী হওয়ার কারণ কি ? রাসুলে কারিম (সাঃ) বললেনঃ কারণটা হলো এই যে, সেওতো তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ( বুখারী ও মুসলিম )
হযরত আবু খালিদ ইবনে হিযাম (রা) বর্ণনা করেনঃ রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেছেন, ক্রেতা ও বিক্রেতা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেচা-কেনা বাতিল করে দেয়ার অধিকার রাখে। তারা যদি উভয়েই সত্য পথে থাকে, তাহলে তাদের কেনা-বেচা বরকতপুর্ণ হয়। আর যদি তারা মিথ্যা (বা অসাধু) পথে থাকে তাহলে তা লেনদেনের বরকত নষ্ট করে দেয়। ( বুখারী ও মুসলিম)
"যারা নির্যাতিত হবার পর হিজরত করে , পরে জিহাদ করে এবং ধৈর্য ধারণ করেন, তোমার প্রতিপালক এই সবের পর ,তাদের প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।" [সূরা আন নাহল : ১১০]
মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা সেই পথে দ্রুত বেগে এগিয়ে চলো যা, তোমাদের প্রভুর ক্ষমা এবং আকাশ পৃথীবি সমান প্রশস্ত জান্নাতের দিকে এগিয়ে গেছে এবং যা খোদাভীরু লোকদের জন্য প্রস্তত রাখা হয়েছে। ( আল ইমরান ১৩৩)
পরিচিত কিমবা অপরিচিত, একজন মুসলিমের সাথে অপর মুসলিমের দেখা হলে সালাম দেয়াটা সবচেয়ে উত্তম কাজ হিসেবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের শিখিয়েছেন।
[বুখারী, ১১]
হে ঈমানদারগণ, (তোমরা) আল্লাহকে ভয় করো, যেমন তাঁকে ভয় করা উচিৎ ( সুরা-আল ইমরান-১০২)
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
০.০৯৩২০৬১৬৭২২১০৬৯ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৬১.৭৬২১৮৬৯২১০৯৯ টি কোয়েরী চলেছে