টপিকঃ ফুটবলের বসদের বস, গুরুদের গুরু।
সাম্প্রতিক ভুমিকম্প হয়ে যাওয়া দিনটিতে , ভুমিকম্প শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে দেখছিলাম ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের টটেনহাম বনাম লিভারপুল ম্যাচটি। ম্যাচ শুরুর মাত্র সাত মিনিটের মাথায় টটেনহামের মডরিচ অসাধারণ এক স্টানার মেরে একটা গোল করে বসে(তার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ভুমিকম্প)। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের এক বিশাল পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ‘অল রেডস’ দল। একজন লিভারপুল ফ্যান হওয়ার কারণে মনটা খুবই খারাপ হয়ে যায়। মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে কিভাবে অনেকদিন ধরে কিছু না জেতা আমার প্রিয় এ দলটিকে কিভাবে তাদের গৌরবময় অতীতে ফিরিয়ে আনা যায়। সবচেয়ে সহজ সমাধান উপায় হলো ম্যানেজার পরিবর্তন। বন্ধুদের সাথেও এ ব্যাপারে কথা বললে অনেকেই বর্তমান বিশ্বের অনেক নামীদামী ম্যানেজারের কথা বললেন। কেউ বলে মরিনহো ছাড়া তোমাদের কেউ গতি করতে পারবে না। কেউ বলে পারলে ফার্গুসনকে পায়ে ধরে নিয়ে আসো গিয়ে যাও। কেউবা বললো গার্দিওলা হচ্ছে তোমাদের জন্য পারফেক্ট চয়েজ। কিন্তু আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো একজনের নাম। অনেকদিন আগেই তার নাম শুনেছিলাম, কিন্তু সেদিন তার ব্যাপারে একটু খোজখবর নিতে গিয়ে খুবই অবাক হয়ে গেলাম। বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন ফুটবল লীগের খেলা দেখেন, কিন্তু এই লোকের নাম জানেন না। তাদেরকে জানানোর জন্যই আমার এ পোস্ট। আমার মনেহয় তার সম্পর্কে জানলে অন্যরাও আমার মতো বলতে বাধ্য হবে যে, ‘এই ব্যাটা বসদের বস, বাপদের বাপ’।
প্রতিটি সফল ফুটবল ক্লাবের পিছনে প্রধানত দুইটি জিনিস থাকে। ইতিহাস এবং টাকা। কোন ক্লাবের যদি গৌরবময় ইতিহাস থাকে, তখন তারা পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও সাফল্য অর্জন করতে পারে। আবার গৌরবময় ইতিহাস না থাকলেও অনেক ক্লাব টাকার জোরে সাফল্য লাভ করে। কিন্তু এ দুইটার কোনটাই নেই, এমন কোন ক্লাবকে নিয়ে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করা ম্যানেজারকে কি বলবেন? গ্রেট? নাকি তার চাইতেও বেশি কিছু? এমনই একজন ছিলেন ব্রায়ান ক্লগ। আজকে আমি তার গল্পই বলবো।
জন্ম এবং শৈশবঃ তার পুরো নাম ব্রায়ান হাওয়ার্ড ক্লগ। তিনি ১৯৩৫ সালের ২১শে মার্চ ইংল্যান্ডের মিডিলসব্রো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একটি লোকাল মিষ্টির দোকানের শ্রমিক। নয় ভাইবোনের তিনি ছিলেন ষষ্ঠ। মাথাটা তার ভালো চললেও পড়াশোনায় তেমন একটা ভালো করতে পারেননি। এ কারণে হাইস্কুলে তিনি ফেল করেন, যদিও তিনি ছিলেন স্কুলের হেডবয় (সব ক্লাস ক্যাপ্টেনদের ক্যাপ্টেন)। ফুটবলার হলেও শৈশবে তার প্রথম পছন্দ ছিলো ত্রিকেট। তার আত্মজীবনীতে তিনি লিখে গেছেন যে, শৈশবে ওয়েম্বলী স্টেডিয়ামে একটি হ্যাট্রিকের চেয়ে লর্ডসে একটা সেঞ্চুরী অনেক বেশি দামী ছিলো।
ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারঃ ক্লগ তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন ‘বিলিংহ্যাম সিন্থেনিয়া’ নামক একটা ছোট ক্লাবে। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন তার নিজ শহরের ক্লাব মিডলসব্রোতে এবং ২১৩ ম্যাচে ১৯৭ গোল করেন। তার এই সাফল্য দেখে সান্ডারল্যান্ড তাকে দলে টানে। সান্ডারল্যান্ডেও তিনি ছিলেন সফল। এখানে ৬১ ম্যাচে করেন ৫৪ গোল। কিন্তু সাফল্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইনজুরী। ১৯৬২ সালের ডিসেম্বরে বারীর সাথে এক ম্যাচে গোলকিপারের সাথে ধাক্কা লেগে তার একটা ভয়াবহ লিগামেন্ট ইনজুরী হয়। দুই বছর পরে উনি মাঠে ফেরত আসলেও মাত্র তিন ম্যাচই খেলতে পেরেছিলেন। এবং এরপর তিনি খেলোয়ার হিসেবে ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পেরেছিলেন মাত্র দুইটি ম্যাচ। ম্যাচপ্রতি গড় গোলের হিসেবে ওনার স্কোর ০.৯১৬ এখনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ।
ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ারঃ
শুরু এবং উত্থানঃঅবসর নেয়ার একবছর পরে ১৯৬৫ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন হার্টলেপুল ইউনাইটেড ক্লাবে। এ সময় তার অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার ছিলেন পিটার টেইলর। ১৯৬৬ সালে কোন কারণ ছাড়াই ক্লাবের চেয়ারম্যান তাদের দুইজনকে বরখাস্ত করেন। ১৯৬৭ সালে এই জুটি যোগদান করেন ডার্বি কাউন্টি ক্লাবে। সেসময় ডার্বি কাউন্টি ছিলো সেকেন্ড ডিভিশনে ধুকতে থাকা এক ক্লাব। ক্লগ এখানে জয়েন করার আগের বারো বছরেও তারা ফাস্ট ডিভিশনে উঠতে পারেনি। ক্লগ দায়িত্ব নেয়ার পরে আগের সিজনের চেয়েও আরো একধাপ অবনমন ঘটে ডার্বির। কিন্তু এই সিজনে ক্লগ কিছু তরুন খেলোয়ারকে সাইন করান। তাদেরকে গড়ে তোলেন পরের সিজনের জন্য। ফলাফল হলো পরের সিজনে ডার্বি সেকেন্ড ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাইশ ম্যাচ অপরাজিত। ফার্স্ট ডিভিশনের প্রথম বছরে ক্লগ ডার্বিকে নিয়ে সিজন শেষ করেন চতুর্থ স্থানে, যেটা ছিলো ক্লাবের বিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সাফল্য। কিন্তু কিছু অর্থনৈতিক নিয়মনীতির লংঘন করায় সে পরের বছর ক্লাবটি ফার্স্ট ডিভিশনে ব্যানড ছিলো। ফিরে এসে ১৯৭০-৭১ সিজনে ক্লগ ডার্বিকে নিয়ে লীগ শেষ করেন ৯ম হয়ে। কিন্তু পরের ১৯৭১-৭২ সীজনেই ক্লগ তার ভেলকি দেখান। ডার্বি তাদের ৮৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
পরবর্তী বছর ১৯৭২-৭৩ সীজনে ক্লগ লীগে ডার্বিকে নিয়ে হন ৭ম। তবে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে তোলেন দলকে। সেখানে জুভেন্টাসের সাথে হেরে প্রেসের সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলে হন চরম সমালোচিত। এই সীজনে লিভারপুলের বিপক্ষে এক ম্যাচে দর্শকদের সাথেও বিরুপ আচরণ করে হন সমালোচিত। তবে তার কারণ হিসেবে তিনি যা বলেছিলেন সেটা আমার বেশ মজা লেগেছে। উনি বলেছিলেন, “এরা আমাদের জন্য উতসাহের চিৎকার করা শুরু করেছে ম্যাচের শেষের দিকে যখন আমরা এক গোলে এগিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমি চাই আমরা যখন পিছিয়ে থাকি তখন তারা আমাদের উতসাহ দিক। আসলে এরা এক পাল অকৃতজ্ঞের দল ছাড়া আর কিছুই না।” একই সীজনে বোর্ড ডাইরেক্টরদের না জানিয়ে বেশি দাম দিয়ে প্লেয়ার কেনা, বোর্ডের কথা না শুনে পেপারে আর্টিকেল লেখা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়লাভের পর তাচ্ছিল্যের সাথে স্যার ম্যাট বাসবিকে ভি-চিহ্ন দেখানো, অতিরিক্ত মদ্যপান প্রভৃতি কারণে বোর্ডের সাথে তার মনমালিন্য তৈরী হয় এবং ক্লগ ও টেইলর ডার্বি কাউন্টি ছেড়ে দেন।
পতনঃ ১৯৭৩-৭৪ এ ক্লগ তার অ্যাসিস্টেন্ট টেইলরকে নিয়ে যোগ দেন থার্ড ডিভিশনের ক্লাব ব্রাইটন এন্ড হভ-অ্যালবিয়নে। এখানে বলার মত কোন সাফল্য তিনি পাননি। এ বছরের কম সময় পরে তিনি এই ক্লাব ছেড়ে যোগ দেন তখনকার সফল ক্লাব লিডস ইউনাইটেডে। এবার তার সাথে টেইলর যোগ দিতে পারেননি। লিডসের আগের কোচ ছিলেন ডন রিভিয়ে, যিনি পূর্বে তার প্রচন্ড আক্রমনাত্বক এবং শরীর-নির্ভর ফুটবলের জন্য ক্লগের সমালোচনার স্বীকার হয়েছিলেন। লিডসের সাথে ক্লগের প্রথম ট্রেইনিং সেশনে ক্লগ তার প্লেয়ারদের বলেন, “এই ক্লাবে তোমাদের জিতে আসা মেডেলগুলো সব ডাস্টবিনে ফেলে দাও, কারণ ওগুলোর কোনটাই তোমরা ফেয়ারলী অর্জন করনি।” ক্লগ সর্বমহলে সমাদৃত ছিলেন একজন কঠোর ম্যানেজার হিসেবে। কিন্তু তিনি নিজের প্লেয়ারদেরকে সবসময় ফেয়ার-গেম খেলতে শিখাতেন এবং ফেয়ার-গেম খেলতে উতসাহিত করতেন। এ কারণে শরীর-নির্ভর ফুটবল খেলে আসা লিডস প্লেয়ারদের সাথে তার মনমালিন্য হয় এবং ফলস্বরুপ ৪৪ দিনের মাথায় উনি বরখাস্ত হন।
আবারো উত্থানঃ ১৯৭৫ সালের জানুয়ারীতে ক্লগ যোগ সেকেন্ড ডিভিশনের ১৩তম অবস্থানে সাথে ক্লাব নটিংহ্যাম ফরেস্টে। এখানে প্রথম সীজন শেষ করেন ৮ম হয়ে। ১৯৭৫-৭৬ সালে অর্থাৎ পরের সীজনে ব্রাইটন ক্লাব থেকে তিনি ফরেস্টে নিয়ে আসেন তার পুরানো সাথী এবং বন্ধু পিটার টেইলরকে। সেই সীজনে তারা তৃতীয় হয়ে ওঠেন ফার্স্ট ডিভিশনে। পরের বছর ১৯৭৬-৭৭ সীজনে জেতেন লীগ-কাপ এবং প্রায় সাত পয়েন্ট এগিয়ে থেকে হন ফার্স্ট ডিভিশন লীগ চ্যাম্পিয়ন। ১৯৭৭-৭৯ সীজনে ক্লগ তাদের লীগ-কাপ শিরোপা ধরে রাখেন। তবে এবার লীগে হন রানার্সাপ। এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিলো ক্লগের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়। ১৯৭৯-৮০ সীজনে ক্লগ লীগ-কাপের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতার মত বড় সাফল্য এ বছরেও তিনি ধরে রাখেন। ১৯৭৭-৭৮ সীজনে ক্লগ আরেকটা অসাধারণ রেকর্ড করেন। লীগে প্রায় এক বছর টানা ৪২ ম্যাচ তার দল ফরেস্ট ছিলো অপরাজিত। ক্লগ মারা যাওয়ার মাত্র একমাস আগে টানা ৪৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে সেই রেকর্ড ভেংগে দেন আর্সেন ওয়েঙ্গার তার আর্সেনালকে নিয়ে।
অবসরঃ পরবর্তীতে ক্লগ আর ফরেস্টকে লীগ চ্যাম্পিয়ন বানাতে না পারলেও বেশিরভাগ সময় প্রথম চারেই লীগ শেষ করতো ফরেস্ট। এ সময় আরো দুইটি লীগ-কাপ শিরোপা জেতেন ক্লগ। একবার এফে-কাপের ফাইনালেও ওঠেন। ১৯৯২-৯৩ সালে ফরেস্টের সাথে ক্লগের আঠারোতম বছরে ওনার মদ্যপানের বদ্যোভাস চরমে ওঠে। এ সীজনে উনি ক্লাবের প্রতি হয়ে ওঠেন উদাসীন। এর ফলে ১৬ বছর শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলা ফরেস্ট অবনমিত হয় সেকেন্ড ডিভিশনে। এবং এর পরেই ক্লগ ম্যানেজার হিসেবে তার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানেন।
বন্ধুর সাথে মনমালিন্যঃ তার দীর্ঘদিনের সাথী এবং বন্ধু পিটার টেইলর ১৯৮২ সালে অবসর নেন। কিন্তু ১৯৮৩ সালে ফিরে আসেন এবং ডার্বি কাউন্টির দায়িত্ব নেন। ক্লগকে না জানিয়ে টেইলর ফরেস্টের এক প্লেয়ারকে সাইন করান যা তাদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরায়। ১৯৯০ সালে টেইলর মারা যাবার আগ পর্যন্ত ক্লগ তার সাথে কথা বলেননি। যখন তার অ্যাসিস্টেন্ট ফোনে তাকে টেইলরের মারা যাবার খবর দেয়, তখন তিনি কিছু না বলে চুপচাপ ফোনটি রেখে দেন। তারপর কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। বন্ধুর মৃত্যুতে তিনি এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে তার মদ্যপানের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছিলো। ১৯৯৪ সালে তার লেখা নিজের অটোবায়োগ্রাফীটি তিনি টেইলরের নামে উতসর্গ করেন। ২০০৪ সালে পাকস্থলীর ক্যান্সারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পরিশিষ্টঃ সাধারণ মানের দলকে অসাধারণ দলে পরিণত করার এক অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন ক্লগ। বর্তমান যুগের মরিনহো কি ঠোটকাটা, তার চেয়ে কয়েক ডিগ্রী বেশি ঠোটকাটা ছিলেন ক্লগ। তার ফুটবল মস্তিষ্কও এখনকার সবচেয়ে সফল ম্যানেজারদের চেয়ে কম ছিলো না। তার বদ্যাভাসগুলোকে বাদ দিলে হয়তো তিনি একজন লিজেন্ড হয়ে বেচে থাকতেন। বাস্তবতা হলো অনেকে তার নামই জানে না। কিন্তু আমার কাছে ব্রায়ান ক্লগ ফেয়ার ফুটবলের পুজারী একজন লীজেন্ড। বসদের বস। বাপদের বাপ।
ফ্যানদের নিজেদের খরচে তৈরী করা ক্লগ এবং টেইলরের মুর্তি
ব্রায়ান ক্লগের কিছু চরম ডায়ালগঃ
. “বেকহ্যাম? ওর বৌ গাইতে পারে না, আর ওর নাপিত চুল কাটতে পারে না।”
. “আমি মারা যাওয়ার পরে আমাকে ফুল পাঠাইও না। যদি আমাকে পছন্দ কর তাহলে জীবিত থাকতেই আমাকে ফুল দিও।”
. “লোকে বলে যে রোম একদিনে তৈরী হয়নি। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আমি তৈরী করার কাজটাতে ছিলাম না।”
. “আপনার প্লেয়ার হয়তো আপনাকে খেলায় হারাবে, কিন্তু আপনার ট্যাক্টিক্সকে নয়। মানুষজন এই খেলাটিকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলবে, অথচ হয়তো তারা নিজেরাই ডমিনসের মত সহজ খেলায় কখনো জিততে পারে নাই।”
. “সিম্যান হচ্ছে খুব সুদর্শন একজন তরুন যে বলের চেয়ে আয়নায় নিজের চুলের দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকে। ওরকম চুল নিয়ে আপনি গোলপোস্ট আগলাতে পারবেন না।”
. “যখন আমি যাবো, খোদাকেও তার সবচেয়ে প্রিয় আসনটি ছেড়ে দিতে হবে।”