টপিকঃ ঘরেই তৈরী করুন পেয়ারার জেলী
এখন বাজারে পেয়ারার কমতি নেই। বাহারী সাইজের, বাহারী জাতের পেয়ারায় বাজার সয়লব। তাই ইচ্ছে করলে আপনি ঘরেই তৈরী করে নিতে পারেন পেয়ারার জেলী। রেসিপি খুঁজছিলাম, পেয়েও গেলাম। আবার শেয়ারও করলাম। রসনা বিলাসীদের কাজে লাগতে পারে।
রেসিপিঃ পেয়ারার জেলী
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
পেয়ারার রস ১ কেজি, চিনি ৬৫০ গ্রাম, সাইট্রিক এসিড ৭ গ্রাম, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট (কে এম এস ) ২০০ মিলিগ্রাম।
(সাইট্রিক এসিডের বদলে লেবুর রস দিয়ে কাজ চালিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু মেটাবাইসালফাইটের কাজ কি দিয়ে চালিয়ে দেয়া যায় ভাবতেছি.. )
প্রস্তুতপ্রণালীঃ
রস নিষ্কাশনঃ
ক) পরিপুষ্ট অথচ কাঁচা পেয়ারা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে টুকরো করে কেটে সমপরিমান পানিতে সিদ্ধ করুন।
খ) সিদ্ধ করার সময় কাঠের হাতল দিয়ে টুকরোকুলোকে ভালোভাবে নাড়াচাড়া দিন যাতে এগুলোতে আঠালো ভাব সৃস্টি হয়। পেয়ারা সাধারণত ৩০- ৩৫ মিনিট সিদ্ধ করলেই নিঃসৃত রস জেলী তৈরির উপযোগী হয়।
গ) পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে রস আলাদা করে নিন। এ রসের সাথেই বের হয়ে আসে পেকটিন ও এসিড। নিৎসৃত পেকটিন ও এসিড জেলী তৈরিতে সাহায্য করে। রস যতই স্বচ্ছ হবে জেলী ততই উজ্জ্বল হবে। এবাবে জেলী তৈরির জন্য রস তৈরি হয়ে গেল।
জেলী তৈরিকরণঃ
ক) উপকরণের পরিমান অনুযায়ী রস, চিনি, সাইট্রিক এসিড আলাদা করে ওজন নিন।
খ) এবার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিন। রান্না চলাকালীন সময়ে অনবরত নাড়াচাড়া করতে হবে। মিশ্রণটি মোটামুটি গাঢ় হয়ে আসলে রিফ্রাক্টোমিটার দিয়ে ঘন ঘন গাঢ়ত্ব পরীক্ষা করুন এবং ৫৮ডিগ্রি ব্রিক্স ( টিএসএস ৫৮ডিগ্রি) আসা পর্যন্ত রান্না করুন। অতৎপর সাইট্রিক এসিড যোগ করে মিশ্রণটি ৬৫ডিগ্রি ব্রিক্স আসা পর্যন্ত রান্না করুন।
গ) রিফ্রাক্টোমিটার এর অনুপস্থিতিতে শীটিং পরীক্ষার মাধ্যমে জেলী হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত অবস্থা নির্ণয় করা সম্ভব। শীটিং পদ্ধতিতে চামচ মিশ্রণের মধ্যে ডুবানো হয় এবং ঠান্ডা করে চামচ বেয়ে মিশ্রণটি পড়তে দেয়া হয়। যদি এটা এক ধারে না পড়ে শীটের আকারে পড়তে তাকে তাহলে বুঝতে হবে জেলী হয়ে গেছে।
ঘ) টিএসএস ৬৫ ডিগ্রি ব্রিক্স হলে বা শীটিং পরীক্ষায় জেলী প্রস্তুত হওয়ার কাচাকাছি বুঝা গেলে নির্ধারিত পরিমাণ কেএমএস সামান্য পানিতে গুলিয়ে মিশ্রণের সাথে যোগ করে ৬৬ ডিগ্রি ব্রিক্স আসা পর্যনত্ম রান্না করুন।
ঙ) চুলা থেকে পাত্রটি নামিয়ে জেলী জীবাণুমুক্ত বোতলে ভরে ভালভাবে ছিপি এঁটে শুকনো ও ঠান্ডা জায়গায় স্বাবাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
এটা হল মূল তরিকা। চাইলে একটু এদিক-সেদিক করে ঘরোয়া তরিকায় তৈরী করতে পারেন।