Re: লিনাক্স বা ওপেনসোর্সপ্রেমী বলেই যে মাইক্রোসফটের বিরোধিতা করি, তা নয়
ইউনিটি পাঁচ মিনিট ইউজ করতে গেলে আমার মাথাটা গরম
হয়ে যায়।
জঘন্য একটা জিনিস।
আমরা প্রত্যেকেই ম্যাচের কাঠির মতো।
আগুনটা বের করতে শুধু একটা ঘষা দরকার।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » অপারেটিং সিস্টেম » লিনাক্স বা ওপেনসোর্সপ্রেমী বলেই যে মাইক্রোসফটের বিরোধিতা করি, তা নয়
ইউনিটি পাঁচ মিনিট ইউজ করতে গেলে আমার মাথাটা গরম
হয়ে যায়।
জঘন্য একটা জিনিস।
আচ্ছা সম্পূর্ন আফটপিক: গ্নোম ৩ কিভাবে ১১.০৪ এ ব্যবহার করব? কোন টিউটো?
ওনিরিকে সম্ভবত ইউনিটি গ্নোম ৩ এ পোর্ট করবে। আর ক্লাসিক ডেস্কটপ আর থাকছেনা সাথে। পুরোটাই ইউনিটি।
sudo add-apt-repository ppa:gnome3-team/gnome3
Microsoft vs. Linux
What happened?
A few years ago...
They had a rocky start.
Halloween 1998
Microsoft tried to scare Linux off...
...their ideas seemed too childish to Microsoft.
Even today the two of them are still bickering.
There is no truce in sight.
Or is there?
Microsoft vs. Linux? => Microsoft and Linux?
Happy Birthday, Linux!
সবাই কার্ণেল ডেভেলপ করলে লাভটা কী হবে? কার্ণেল দিয়ে তো আর সাধারণ মানুষ কিছু করতে পারবে না। ক্যানোনিক্যাল উবুন্তু বানিয়েছে কেন? তার দর্শনটা কী? লিনাক্সকে ডেস্কটপে জায়গা দেয়া। ডেস্কটপে লিনাক্সকে জায়গা দেয়াটা যাদের উদ্দেশ্য তাদের কার্নেল নিয়ে না, বরং ইউজারস্পেস সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে সফল হওয়াটাই প্রয়োজন। ক্যানোনিক্যাল ০% কার্নেল কনট্রিবিউশন করলেও কিছু আসে যায় না। যার যে কাজ সেটাতেই মনোযোগ দেয়া ভাল।
অমি আজাদের কথার জবাব জাহিদ সুমন বেশ ভালভাবেই দিয়েছিলেন আপ্র-তে। তারপরও আবার বলি - পুকুরে-নদীতে মাছ আছে। সেটা যে কেউ যখন-তখন ধরে খেতে পারে। কিন্তু সেটা আরামসে কোন কাজ না করে খেতে চাইলে জেলে-পাইকারি বিক্রেতা-খুচরা বিক্রেতাকে উপযুক্ত পয়সা দিয়েই সেটা কিনে খেতে হবে।
আমি নিজেও লিনাক্স বিক্রি করে খাই। একেবারে খুবই কাস্টম-একটামাত্র কাজ করা সেই লিনাক্স যার প্রয়োজন সে ঠিকই হাজার ডলার দিয়ে কেনে। আমি সেখানে যা ব্যবহার করি, সেগুলো সব ওপেনসোর্স এবং ফ্রি। কিন্তু আমার প্রডাক্টটা আমি খুবই স্পেশালাইজড করে বানাই - যা কিনা ঐ একটা কাজই করে এবং ঐ কাস্টমারের শুধু ঐ কাজটাই দরকার। সে ইচ্ছা করলে ফ্রি উবুন্তু-রেডহ্যাট-ডেবিয়ান সার্ভারে কাজটা করতে পারে এবং সেই জ্ঞানও তার আছে। কিন্তু তারপরও তার প্রয়োজনেই সেটা সে কেনে।
মাইক্রোসফট এতদিনে মনে হয় বুঝতে পেরেছে, পেট মোটাদের সাথে পেরে উঠা যাবে না, তাই বন্ধুত্ব করতে চাইছে, কিন্তু এখানেও তাদেরই স্বার্থ আছে, যা ব্রাসু ভাই বলেছেন।
আর আমিও স্বপ্নচারী ভাইয়ের সাথে একমত, উবুন্টু প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হল লিনাক্সকে ডেস্কটপ ইউসারদের কাছে নিয়ে আসা, লিনাক্স কার্ণেলের সরাসরি উন্নতি করা নয়। তারা তাদের উদ্দেশ্যে সফল হচ্ছে কিন্তু সময় নিয়ে। আশা করি অচিরেই ডেস্কপট কম্পিউটিং এ লিনাক্স চলে আসবে সম্পূর্ণরূপে।
ক্যানোনিকাল এ পর্যন্ত যা দিয়েছে তার তুলনা নাই। উবুন্তু আসার আগে মানুষ লিনাক্স চিনতোই না। যারা চিনত, তারা যমের মত ভয় করত।
ওপেনসোর্স দুনিয়া কেবল সফটওয়্যার কোড লেখার জন্যই না। সেটা খুবই ছোট্ট একটা অংশ মাত্র। বাগরিপোর্ট, কমিউনিটি চালানো, নতুন ইউজারের স্টুপিড প্রশ্নের জবাব ধৈর্যসহকারে দেওয়া (কেবল এই একটা কারণেই আজকে ডেস্কটপে লিনাক্স, RTFM পয়েন্ট করে ইউজারবেস পাওয়া যায় না), লঞ্চপ্যাডের পিপিএ কনসেপ্ট, ডেভেলপারদের বিভিন্ন প্লাটফরম দাঁড় করিয়ে দেওয়া ইত্যাদি অনেক অনেক কাজ অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচুর ওপেনসোর্স সফটওয়্যার মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে - কারণ তারা শুধু কোড লেখায় ব্যস্ত। ঐ প্রজেক্টের উপর কোন কমিউনিটি গড়ে তোলার ব্যাপারে কোনরকম আগ্রহ নাই। অন্যতম উদাহরণ বিএসডি ওএসগুলো। ওপেনবিএসডি হচ্ছে সবচেয়ে সরেস এ ব্যাপারে। স্টুপিডগুলো এটাও বোঝে না যে তাদের মেইন স্কেলেটনে শূণ্য বাগ থাকাটা যেমন জরুরী তেমনই একজন ব্যবহারকারীর জন্য নোম, কেডিই ডেস্কটপে শূন্য বাগ থাকাটাও জরুরী। শুধু তাই না, কেউ কোন প্রশ্ন, সাজেশন নিয়ে এগোলে তাকে মধ্যমা দেখিয়ে RTFM বলাটা কোন উপকারে আসে না।
স্রেফ ক্যানোনিকাল থেকে আইডিয়া এসেছে বলে নোম ফাউন্ডেশন ইউনিটিকে পাত্তা দেয়নি। এসব শুধুমাত্র ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স। মানুষ লিনাক্স বলতে উবুন্তু বোঝে সেটাই হল সবার মূল সমস্যা। সাধারণ মানুষ লিনাক্স-উবুন্তুর পার্থক্য বোঝে না, বোঝার প্রয়োজনও নাই। লিনাক্স ব্যবহার করছে সেটাই মূল সফলতা। অহেতুক তাদের উপর লক্ষ-কোটি ডিস্ট্রিবিউশনের ইতিহাস চাপিয়ে দিয়ে ভয় পাইয়ে দেয়ার কোন মানে নাই। যার আগ্রহ হবে সে নিজেই জেনে নেবে। এ ধরণের এলিট-হ্যাকার মানসিকতা যতদিন মানুষের দুর না হবে, ততদিন লিনাক্সের কিচ্ছু হবে না। সাইডলাইনেই সবসময় থাকতে হবে।
কমিউনিটির বিকল্প কোন কিছুই হতে পারে না। সেটা বাস্তব সমাজ ব্যবস্থায় হোক বা ভার্চুয়্যাল দুনিয়ায় হোক। আবার অর্গানাইজেশনের বিকল্প ও কমিউনিটি হতে পারে না। একটি পরিপূর্ন সমাজ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে উভয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
লিনাক্সের মাল্টিডাইমেনশনাল ডেভেলপমেন্টকে আমরা আজ এ অবস্থায় পেতাম না যদি সবার অবদান না থাকতো। তাই রেডহ্যাট, নোভেল, ক্যানোনিকাল যেমন ওপেনসোর্স ইতিহাসের অংশ ঠিক তেমনই ডেবিয়ান, স্ল্যাকওয়ার, নোম এর মত কমিউনিটি নির্ভর প্রতিষ্ঠান/প্রজেক্টসমূহ গুরুত্বপূর্ন ও অপরিহার্য উপাদান।
বৈচিত্র্যতাই একটি পরিপূর্ন কাঠামোকে সত্যিকার অর্থে মজবুত ভিত্তিতে দাড় করিয়ে থাকে। আমরা সকলে এ বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে গর্বিত।
লিনাক্সের এ অন্তর্নিহিত শক্তির কারনে অনুমান করাটা কঠিন নয় যে সামনে কোন কমিউনিটি বা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাবে। ঠিক মানবসভ্যতার বিবর্তনের মত। আজকের প্রযুক্তি যেমন পরবর্তী প্রজন্ম উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে এবং নিজের তাগিদেই একে উন্নয়ন করতে থাকে। আবার ভবিষ্যত প্রজন্মের হাতেও এটি পূর্বের ন্যায় স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। এ ইকোসিস্টেম পুরো মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনেক কঠিন কঠিন কথা বলে ফেললাম মনে হয়...
প্রজন্ম ফোরাম » তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি » অপারেটিং সিস্টেম » লিনাক্স বা ওপেনসোর্সপ্রেমী বলেই যে মাইক্রোসফটের বিরোধিতা করি, তা নয়
০.০৭৬৬৯৩০৫৮০১৩৯১৬ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৪১.৪২৮৮৫৭৮৮৭১৭৮ টি কোয়েরী চলেছে