Re: প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
রব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সামীউ'ল আ'লীম ।
অর্থ : হে আমাদের প্রভু ! আমাদের এই কাজ কবুল কর , নিশ্চয়ই তুমি সমস্ত কিছু শুনতে পাও এবং জান ।। ( সূরা বাকারা ১২৭ আয়াত )
এই মেঘ এই রোদ্দুর
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
রব্বানা তাক্বাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সামীউ'ল আ'লীম ।
অর্থ : হে আমাদের প্রভু ! আমাদের এই কাজ কবুল কর , নিশ্চয়ই তুমি সমস্ত কিছু শুনতে পাও এবং জান ।। ( সূরা বাকারা ১২৭ আয়াত )
তারা তাদের পালনকর্তার রসূলকে অমান্য করেছিল। ফলে তিনি তাদেরকে কঠোরহস্তে পাকড়াও করলেন। (Al-Haaqqa: 10)
“আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“সিয়াম হল ঢাল। সুতরাং তোমাদের মাঝে যে সিয়াম পালন করবে সে যেন অশ্লীল আচরণ ও মুর্খতাসুলভ কথা ও কাজে লিপ্ত না হয়। যদি তাকে কেউ গালি দেয়, তাহলে তাকে বলে দেবে আমি সিয়াম পালনকারী, আমি রোজাদার।”
[সহীহ আল - বুখারী হাদীস নং ১৭৯৫, সহীহ মুসলিস হাদীস নং ১১৫১]
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। (Taa-Haa: 14)
কুরআন তিলাওয়াত ও এর আদব http://www.globalminberbangla.com/HomeD … 25&M=5
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেছেন: “যখন সালাত আরম্ভ হয়ে যায়, তখন দৌড়ে গিয়ে তাতে শামিল হয়ো না। বরং ধীরস্থিরভাবে হেঁটে এসে তাতে শামিল হও। যতটুকু পাও আদায় করে নাও এবং যতটুকু ছুটে যায় পরে পূরণ করে নাও।”
আব্দুল্লাহ মাসুদ থেকে বর্নিত, আমরা একবার আল্লাহর নবীর সাথে অভিযানে বের হয়েছিলাম ও আমাদের সাথে কোন নারী ছিল না। তখন আমরা বললাম- আমাদের কি খোজা (নপুংষক) হয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ? তখন তিনি আমাদের তা করতে নিষেধ করলেন ও স্বল্প সময়ের জন্য কোন মেয়েকে কিছু উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে বিয়ে করার জন্য অনুমতি দিলেন। সহী মুসলিম, বই-৮, হাদিস-৩২৪৩
তোমরা কাফেরদেরকে পৃথিবীতে পরাক্রমশালী মনে করো না। তাদের ঠিকানা অগ্নি। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তনস্থল। (An-Noor: 57)
নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ। (Aali Imraan: 51)
''তোমরা যে পানি পান কর,সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন,না আমি বর্ষন করি? আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি,অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?'' [সূরা ওয়াকিয়া: ৬৮-৭০]
অলোক লিখেছেন:
"Kill the mushriqeen (pagans, polytheists, kuffar) where ever you find them."
[Al-Qur’an 9:5]
কোরানের সূরা আত তাওবাহ(সূরা ৯,আয়াত ৫)এ সত্যিই বলা হয়েছে "অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকেদর হত্যা কর যেখানে তাদের পাও"।এ আয়াতের উল্লেখ করে ইসলামবিরোধীরা বলে থাকে "ইসলাম অশান্তির ধর্ম, বর্বরদের ধর্ম।" উত্তরটা দিচ্ছি।
দেখি কোরআন কি বলে।কোরানের সূরা আত তাওবাহ(সূরা ৯,আয়াত ৫)এ সত্যিই বলা হয়েছে "অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকেদর হত্যা কর যেখানে তাদের পাও"।
কিন্তু এই আয়াতের বাকি অংশ এবং এরপরের আয়াতটা পড়লেই বুঝা যাবে ইসলাম কতটা শান্তির ধর্ম।এই আয়াতের বাকি অংশে বলা হয়েছেঃ
"কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
সবচেয়ে বড় চমক আছে এর পরের আয়াতেঃ
"আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না। "
চিন্তা করেন ,ইসলামে শান্তির কোন স্তরের বানী আছে। আজকের দিনে যদি ২টা দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে আর কেউ যদি তার প্রতিপক্ষকে হাতের মুঠোয় পায় তবে কি ছেড়ে দেবে?মনে হয় না। কিন্তু মহান আল্লাহ বলছেন,মুশরিকদের কেউ আশ্রয় চাইলে শুধু ছেড়ে দেয়া না, তাকে আশ্রয় পর্জন্ত দিতে বলা হচ্ছে।চিন্তা করুন আপনার পরম শত্রু, যাকে দেখলেই মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, সে আশ্রয় চাইলে তাকে আবার আশ্রয় পর্জন্ত দিতে বলা হচ্ছে।আরো বলা হচ্ছে, তাকে নিরাপদ স্থানে পৌছে দিতে!!! এটা কি চিন্তা করা যায়, যে আপনাকে মেরে ফেলার জন্য বের হয়েছে, যার সাথে আপনার যুদ্ধ, সেই তাকেই না মেরে, আঘাত না করে আশ্রয় দিতে হবে, আবার নিরাপদ স্থানে পৌছে পর্জন্ত দিতে হবে!!!! চিন্তা করুন, একবার ভাবুন, কোন স্তরের শান্তির বানী এটা, নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করুন।এই হল শান্তির ধর্ম ইসলাম,এই হল ন্যায়ের ধর্ম ইসলাম। এ হল আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পবিত্র গ্রন্থ আল-কুর'আন। কেউ যদি সত্যিই শান্তির সন্ধান করে,ন্যায়ের সন্ধান করে, তবে এই ২ আয়াত দেখেই তার ইসলামের সৌন্দর্য বুঝে ফেলার কথা।
এবার লক্ষ করুণঃ
কারো কথা যদি প্রসংগ ছাড়া এমনভাবে উদ্ধৃতি দেয়া হয়,যাতে করে তার কথা এবং প্রসংগটা ভিন্ন হয়ে যায়, তবে তা হল মিথ্যাচার। যেমন আমি যদি বলিঃ "কোন স্রষ্টা নাই।আল্লাহ ছাড়া।" এখানে কেউ যদি বলে "কন্সেপ্ট বলেছে কোন স্রষ্টা নাই।তার মানে সে নাস্তিক।"তাহলে এটা হবে মিথ্যাচার। কারণ আমি সত্যিই বলেছি কোন স্রষ্টা নেই।কিন্তু আমার পুরো কথাটা পড়লে যে কেউ বুঝবে, আমার কথার প্রসংগ ছিল ভিন্ন। আমার কথার মাঝখান থেকে একটা লাইন উদ্ধৃতি দেয়ায় সেটা আমার প্রসংগের সম্পূর্ণ বিপরীত তাই যদিও আমি বলেছি "কোন স্রষ্টা নাই।"তারপরেও এভাবে উদ্ধৃতি দেয়াটা মিথ্যাচার, কারণ এতে কথার প্রসংগ সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে।
ইসলাম বিরোধীরাও ঠিক এমনিভাবে প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে কোর'আনের আয়াত, হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়। কিন্তু এগুলো মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না।যার জ্ঞান আছে, সে এগুলো যাচাই করে দেখলে আল্লাহর ইচ্ছায় খুব সহজেই বুঝতে পারে এগুলো মিথ্যা।আর আল্লাহর ইচ্ছায় ইসলামের সৌন্দর্য তার সামনে ধরা পড়ার কথা যদি সে সত্যিই সত্যান্বেষী হয়।
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া। (Ibrahim: 40)
''এমন কত জীবজন্তু আছে, যারা নিজেদের খাদ্য মওজুদ রাখে না। আল্লাহই রিযিক দেন তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।'' [সূরা আনকাবূত:৬০]
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। [49:11]
“যারাই আল্লাহ এবং তার রাসূলের আনুগত্য করে এবং আল্লাহকে ভয়ের যোগ্য হিসেবে জানে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই বিজয়ী।” (সূরা আন নূর, ২৪ : ৫২)
তিনিই বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ন মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দেই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনি ভাবে মৃতদেরকে বের করব-যাতে তোমরা চিন্তা কর। (Al-A'raaf: 57)
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। "
"যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। "
[২:১৫৫,১৫৬]
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। (At-Tawba: 38)
"শয়তান তোমাদেরকে অভাব-অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে(অর্থাৎ যদি ব্যয় কর অথবা উত্তম জিনিস ব্যায় কর, তবে দরিদ্র হয়ে যাবে) এবং তোমাদের মন্দ বিষয়ের (কৃপণতার) পরামর্শ দেয় এবং আলাহ তায়ালা তোমাদের সাথে ওয়াদা করেন (ব্যয় করলে এবং উত্তম বস্তু ব্যয় করলে) নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা করে দেয়ার এবং বেশি দেয়ার (অর্থাৎ সৎকাজে ব্যয় করা যেহেতু ইবাদত এবং ইবাদত দ্বারা গোনাহও মাফ হয়।আল্লাহ তায়ালা কাউকে দুনিয়াতেই এবং পরকালে সবাইকে ব্যয়ের প্রতিদান বেশি বেশি দান করবেন) এবং আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময়(তিনি সবিকিছু দিতে পারেন), সুবিজ্ঞ(নিয়ম অনুযায়ী ফল দান করেন) "
[বাকারার ২৬৮ নং আয়াতের তাফসীরের সার সংক্ষেপ, মা'আরেফুল কোরআন]
ইমাম গাযযালী (রহঃ) বলেন, "ভবিষ্যতে কি হবে এ চিন্তায় বেশি মগ্ন হওয়া উচিত নয়।বরং আল্লাহ তায়ালা যেহেতু রিযিকের ওয়াদা করে রেখেছেন, কাজেই তার উপর ভরসা করা চাই।আর এটা বুঝে নেয়া চাই যে, ভবিষ্যতের অভাবের ভয় শয়তানী প্রভাব।যেমন উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে।শয়তান মানুষের মনে এই খেয়াল দিতে থাকে যে, তুমি যদি সম্পদ জমা করে না রাখ, তবে যখন তুমি অসুস্থ হবে অথবা উপার্জন করার ক্ষমতা থাকবে না অথবা হঠাত কোন প্রয়োজন দেখা দিবে, তখন তুমি মুশকিলে পড়ে যাবে এবং তোমার বড় কষ্ট হবে। এই সমস্ত ধারণার মাধ্যমে তাকে দুঃখ ও কষ্টের মাঝে ফেলে দেয় এবং সব সময় কষ্টের মাঝে লিপ্ত রাখে।অপরদিকে এই বলে বিদ্রুপ করে যে,এই আহাম্মক ভবিষ্যতের কাল্পনিক কষ্টের ভয়ে বর্তমানের নিশ্চিত কষ্টের মধ্যে পড়েছে।"
[এহইয়া]
আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।{ সূরা মুযযামমিল=আয়াত ২০}
প্রজন্ম ফোরাম » দৈনন্দিন » প্রতিদিন একটা কোরআনের আয়াত অথবা হাদীস.......
০.২১০৩৮৩১৭৬৮০৩৫৯ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৩৪.৭৬১৮৯৩৯৪৭৩৭৮ টি কোয়েরী চলেছে