টপিকঃ অবশেষে শিরোপা জিতলো সান্তোস নেইমারের গোলে (সাথে ফাইট ফ্রি)
প্রায় অর্ধশতাব্দীর শিরোপা খরা কাটালো পেলের ক্লাব ব্রাজিলের সান্তোস। বুধবার দলটি ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব কাপ কোপা লিবারতাদোরেস শিরোপা জিতেছে। ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলায় উরুগুয়ের পেনারল ক্লাবকে ২-১ গোলে হারায় সান্তোস। মন্টিভিডিওতে প্রথম লেগের খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সাও পাওলোতে ফিরতি লেগের খেলায় সান্তোসের পক্ষে গোল করেন আলোচিত নেইমার ও ড্যানিলো। দু’টি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ১৯৬২ ও ৬৩ সালে পেলের আমলে পরপর দু’আসরে শিরোপা জেতার পর সান্তোস আর কোপা লিবারতাদোরেস জিততে পারে নি। ফাইনালে সাইডলাইন থেকে পেলে তার সাবেক দলটিকে উৎসাহ যুগিয়েছেন নানাভাবে। পরে ট্রফি হাতেও তাকে উল্লাস করতে দেখা যায়। ১৯৬২ এর ফাইনালে এ পেনারলের বিরুদ্ধে দুটি গোল করেছিলেন পেলে। পেনারল তার আগের দু’আসর ১৯৬০ ও ৬১তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গতবার এ আসরের শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিলেরই ইন্টারন্যাসিওনাল। এ নিয়ে সান্তোস তিনবার চ্যাম্পিয়ন হলো এ প্রতিযোগিতায়। দলটি এ বছরের ফিফা ওয়ার্ল্ড ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করলো। খেলার ৪৭ মিনিটে নেইমার ও ৬৯ মিনিটে ড্যানিলো সান্তোসের পক্ষে গোল করেন। ৮০ মিনিটে পেনারল একটি গোল পরিশোধে সক্ষম হয়। ম্যাচটি শেষ হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু এরপরে আনন্দ-উল্লাসের এক পর্যায়ে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি আর মারামারি। দর্শকদের সঙ্গে সান্তোসের খেলোয়াড়রাও চড়াও হন পেনারলের খেলোয়াড়দের ওপর। পরে পুলিশ এসে তাদের থামান। পেনারলের খেলোয়াড়রা পরে রানার্সআপ পদক গ্রহণ করেন ঠাণ্ডা মাথাতেই। এতে অবশ্য তেমন গুরুতর আহত হননি কেউই। পেনারলের ফরোয়ার্ড আলেয়ান্দ্রো মার্টিনুসিও বলেন, খেলা শেষে সান্তোসের একজন সমর্থক মাঠে ঢুকে আমাদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। কিভাবে উল্লাস করতে হয় তা তাদের শেখা উচিত। আমরা তো পরাজয় মেনেই নিয়েছি। ১৯ বছর বয়সী সাড়া জাগানো নেইমার শেষ বাঁশি বাজার পর হাঁটু গেড়ে বসে খানিকক্ষণ মুখ ঢেকে বসে থাকেন আনন্দে। সাইডলাইন থেকে চিৎকার করতে থাকেন পেলে। নেইমার বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন আজ। আমি ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরাই শিরোপার যোগ্য দল, এখন সময় আনন্দ উদযাপনের। পেনারল পাঁচবার এ শিরোপা জিতলেও ২৪ বছরে আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। ৭ বার শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে আর্জেন্টিনার ইন্ডিপেন্ডেন্স ক্লাবের। তার পেছনে রয়েছে ৬ বার শিরোপা জেতা একই দেশের বোকা জুনিয়র্স। ব্রাজিলের আরেক দল সাও পাওলো তিনবার এ কাপ জিতেছে। ২০০৩ এর ফাইনালে সান্তোস বোকা জুনিয়র্সের কাছে হেরেছিল। বোকাতে এক সময় খেলতেন কিংবদন্তি মারাদোনা। প্রায় ৪০০০০ দর্শক খেলাটি উপভোগ করেন।
http://www.mzamin.com/index.php?option= … ;Itemid=80
নাইমার যখন একশনে
খেলার গোল সমূহ
সাথে বিনোদন ফ্রী
মেসির ভক্তরা সাবধান কারণ নাইমারের যুগ শুরু হয়ে গেছে