টপিকঃ আমাদের আবিস্কার
আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময়ে অনেক কিছু আবিস্কার করে ফেলি/থাকি, সে ছোট হোক আর বড় কিছু। তেমনই নিজের আবিস্কার অন্যের সাথে শেয়ার করার জন্য এই টপিক। আসলে জানতে চাচ্ছি, এই পর্যন্ত কে কি আবিস্কার করেছেন।
শান্ত বালকের আবিস্কার
অনেক ছোট থাকতে ক্লাস ৩-৪ এ পড়ি হয়তো তখন টুকটাক অনেক কিছুই মাথায় ঘুরতো আবিস্কারের লক্ষ্যে। টুকটাক অনেক জিনিসপত্রও জোগাড় করেছিলাম। একদিন একটা ছোট কাঠের তকতায় পেরেকের সাহায্যে সুন্দর করে লাগিয়েছিলাম একটা ছোট আকারের মোটর। আর কাঠের আরেকদিকে পেরেকের সাহায্যে লাগিয়েছিলাম দুইটা পেনসিল ব্যাটারী। বেশ শক্তভাবে লাগিয়েছিলাম যেন নড়াচড়া না করে। তারপর নতুন দুধের কৌটার মুখে যেই পাত লাগানো থাকে সেটা সুন্দর করে কেটে পাখা বানিয়েছিলাম। মোটরের মুখে সুন্দর করে পাখাটা বসিয়ে দিলাম। মোটরের তারের প্রান্ত দুইটা ব্যাটারীর + আর - প্রান্তের পেরেকের সাথে লাগিয়েছিলাম। দুইটা পেরেক এমনভাবে বসানো ছিল যাতে একটা পেরেক ব্যাটারীর + আর আরেকটা - প্রান্তকে স্পর্শ করে থাকে। তার দুইটা লাগাতেই ঘুরে উঠলো পাখা, বানিয়ে ফেললাম ছোট্ট একটা ফ্যান। সেই বয়সে এই আবিস্কারটাই বিমোহিত করেছিল আমাকে। অনেক আনন্দ পেয়েছিলাম। স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।
বছর দুই আগে চারিদিকে শুধু বাউকূলের প্রশংসা। হঠাৎ ঠিক করলাম যে আমিও বাড়ির পেছনের জায়গায় একটা বাউকূলের বাগান করবো। ৬০ টি চারাগাছ দিয়ে শুরু করলাম। অনেকে পরামর্শ দিলেন সার দিতে। আমি ভাবলাম নিজে ভাল মানের সার বানালে মন্দ হয় না। যেই ভাবা সেই কাজ। সরিষার খৈল ভিজিয়ে রাখলাম। ওদিকে গরুর গোবরও এনে রাখলাম। আরেকটা বালতিতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম গাছের পাতা। এভাবে ১ মাস অতিবাহিত হলো। এবার পঁচা খৈল-গোবর-পঁচা পাতা-ইউরিয়া-টিএসপি-ফসফেট-চিনি-লবন-পানি আর একটু ছাই ও মাটি মিশিয়ে বড় একটা ড্রামে রেখে দিলাম আরও কিছু দিন। তারপর সেই সার প্রয়োগ করলাম বাউকূল গাছ + আরও কয়েকটা আম গাছে। সারটা যে ভাল মানের হয়েছিল তা বুঝতে পারলাম মাস খানিক পরে, যখন দেখলাম তরতর করে বেড়ে উঠছে গাছগুলি। আমি সারটার নাম দিয়েছি “মাল্টিপুল সার”।
আমার দুইটা আবিস্কার শেয়ার করলাম এবার আপনাদেরগুলো শোনার পালা।