টপিকঃ গ্যাসটিক সমস্যাঃ ওমিপ্রাজল বনাম এন্টাসিড (জানতে চাই)
আমার গ্যাসটিকের তেমন কোন সমস্যা নাই কিন্তু ভাজা-পোড়া খেলে তখন সমস্যা হয়। আমি সাধারণত লোসেক্টিল-২০ (ওমিপ্রাজল ) খাই তখন এবং এটা ঠিক হয়ে যায়। এন্টাসিড খেলেও কি একি কাজ হবে ?
এন্টাসিড সম্পর্কে নীচের কিছু তথ্য পেলাম
এন্টাসিড সম্পর্কিত ১০টি তথ্য
পাকস্থলীতে খাদ্যদ্রব্যকে হজমে সহায়তা করার জন্য গ্যাস্টিক এসিড নামক যে পাচক রস নিঃসৃত হয় তা মাত্রাতিরিক্ত হলে বুক জ্বালাপোড়া, অতিরিক্ত গ্যাস উৎপন্ন হওয়া, পাকস্থলীতে অস্বস্তিবোধ করা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। অতিরিক্ত এসিডকে প্রশমিত করতে আমরা এন্টাসিড খেয়ে থাকি।অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এন্টাসিড খুব ভালো কাজ করে এবং তরল এন্টাসিড যেমন সাসপেনশন খুব দ্রুত এসিডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
খাওয়ার পর এবং ঘুমানোর আগে এন্টাসিড খাওয়া হয়। ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে গলাধ:করণ না করে চুষে খাবার পর এক গ্লাস পানি খেতে হয় আর তরল এন্টাসিড খাওয়ার আগে অবশ্যই ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।
বাসায় এন্টাসিড রাখতে হলে আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে এবং বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। এন্টাসিড সাসপেনশন কখনো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
এন্টাসিড কিছু কিছু ওষুধ যেমন এন্টিবায়োটিকের শোষণে বাধা দেয় তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে এটি খাওয়া যাবে না।
এন্টাসিডের কার্যকারিতা বেশি পেতে হলে ধূমপান, চা-কফি পান করা বাদ দিতে হবে।
এন্টাসিড খাওয়ার পরও যদি এসিডের সমস্যা বা বুক জ্বালাপোড়া না কমে এবং চার-পাঁচদিন পর যদি মনে হয় অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না তবে অন্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
কিডনি ও লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টাসিড খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালুমিনিয়ামসমৃদ্ধ এন্টাসিড শরীরে ফসফেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয় তাই অতিমাত্রায় বা দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করলে ক্ষুধামন্দা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
মনে রাখতে হবে এন্টাসিড পাকস্থলীতে বিরাজমান এসিডকে প্রশমিত করে; কিন্তু এসিড উৎপাদন বা নিঃসরণ বন্ধ করতে পারে না। এটি দ্রুত কাজ করলেও এর কার্যক্ষমতা এক থেকে দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
http://174.120.152.66/~pratidin/?view=d … mp;index=2
এন্টাসিড থেকে ফুড এলার্জি
কারণে-অকারণে এন্টাসিড সেবন করেন না এমন সুস্থ বা অসুস্থ লোক পাওয়া যাবে না। যেহেতু সামান্য পেটে ব্যথা, গ্যাস হলেই এন্টাসিড সেবন করেন বেশীরভাগ মানুষ। কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞগণ যারা এন্টাসিড এবং এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ সেবন করেন তাদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন শতকরা ২৫ ভাগ লোকের ফুড এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রধান গবেষক ডঃ এরিকা জেনসেন জারোলিম গবেষণা তথ্যে জানান, এন্টাসিড পাকস্থলীর এসিডিটিকেই শুধু বস্নক করে দোনা, এন্টাসিড জাতীয় ওষুধটি খাদ্য পাচকে সহায়ক পাকস্থলীর প্রয়োজনীয় এনজাইম বা জারকরস পেপসিন-এর এ্যাকশন বা কার্যকারিতাও বস্নক করে দেয়। ফলে খাদ্য বিপাকে সমস্যা জনিত কারনে ফুড এলার্জি হতে পারে। ডাঃ জেরিকা যেসব এন্টাসিড জাতীয় ওষুধের নাম উলেস্নখ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে এন্টাসিড, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর অথবা এইচ-২ ইনহিবিটর। এসব ওষুধ একটানা ৩ মাস সেবন করলে ফুড এলার্জি হতে পারে। তবে গ্যাষ্ট্রিক আলসার ও এসিডিটির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসব ওষুধ সেবন করা উচিত।