টপিকঃ ৪র্থ গ্র্যান্ডমাস্টার পেল বাংলাদেশ
প্রায় পাঁচ মাস অপেক্ষার পর অবশেষে গ্র্যান্ডমাস্টার স্বীকৃতিটা পেলেন আবদুল্লাহ আল রাকিব। গত এপ্রিলে ঢাকায় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাবের জন্য প্রয়োজনীয় তৃতীয় নর্মটি পেয়ে যান বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক মাস্টার।
রাকিবের জিএম স্বীকৃতিটা আসার কথা ছিল এপ্রিলের পরপরই অনুষ্ঠিত বিশ্ব দাবা সংস্থার (ফিদে) বোর্ড মিটিং থেকে। কিন্তু আইনি জটিলতা আর দাবা ফেডারেশনের ভাষায় ‘ভুল বোঝাবুঝিতে’ সেটা আসেনি তখন। সেই ‘ভুল বোঝাবুঝি’র অবসান হয়েছে গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোতে হয়ে যাওয়া ফিদের প্রেসিডেন্সিয়াল বোর্ড মিটিংয়ে। রাকিবের নর্মগুলো যাচাই করে গ্র্যান্ডমাস্টারের স্বীকৃতি গতকাল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান ও রিফাত বিন সাত্তারের পর চতুর্থ গ্র্যান্ডমাস্টার পেল বাংলাদেশ।
সুসংবাদটা যখন এসে পৌঁছাল, রাকিব তখন দাবা ফেডারেশন থেকে বাসে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন। ফোনে তাঁর কন্ঠে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ছিল মুক্তির আনন্দও, ‘একটা ভার নেমে গেল। এত দিন ধরে ঝুলে ছিল ব্যাপারটা। তবে সত্যি বলতে, আমি খুব একটা আমলে নিচ্ছিলাম না এটিকে।’ শুনতে একটু অন্য রকম শোনালেও রাকিব বলছেন, এটাই সত্যি। দেশের জন্য, দেশের দাবার জন্য, এমনকি নিজের প্রাপ্তির কথা ভাবলেও গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাবটাকে তাঁর বড় ব্যাপারই মনে হয়। কিন্তু দাবার দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে ‘সবকিছু’ বলে মেনে নিতে নারাজ রাকিব, ‘গ্র্যান্ডমাস্টার হলো একটা নির্দিষ্ট খেতাব। এর মানে এই নয় যে, আমার দাবা খেলাটা এ পর্যন্তই। আমি খুব ভালো করে জানি, আমার অনেক দুর্বলতা আছে। সেগুলো ঠিক করতে হবে। তার চেয়েও বড় কথা, দাবাড়ু হিসেবে নিজেকে এগিয়ে নিতে চাইলে এই খেতাবের দিকে চেয়ে বসে থাকলে চলবে না।’
রাকিব তাঁর প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পেয়েছিলেন ২০০১ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত এশীয় আন্তর্জাতিক দাবায়। দ্বিতীয়টি এসেছে ২০০৪ সালে লিওনাইন চেস ক্লাবের গ্র্যান্ডমাস্টার্স টুর্নামেন্ট থেকে। এবার সেই নর্মের পর স্বীকৃতিটাও এসে গেল।
সুত্রঃ প্রথম আলো ২৬/০৯/০৭ খেলার পাতা
কৃতজ্ঞতাঃ মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ১.৭.২