থিওরী অফ রিলিটিভিটি এবং অন্ধকারের গ্রহ- ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল

"থিওরী অফ রিলিটিভিটি" এখনো পড়ি নাই। তাই বলতে পারতেছিনা ওইটা সম্পর্কে। কিন্তু "অন্ধকারের গ্রহ" পড়লাম। বইটাতে আগের অন্য একটা বই এর ছায়া পেলাম, বইটি খুব সম্ভবত "ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম"। যাইহোক, আমি মনে প্রানে বিস্বাস করতে রাজি না যে স্যার এখন প্রফেসনাল হয়ে যাইতেছে। কিন্তু তবুও আমার কাছে সেইরকমি মনে হইতেছে।
আমি কিছুদিন আগে স্যার এর আরেকটি বই পড়লাম, "অবনীল"। বইটি পড়ার কিছুদিন পরে আমি "ভ্যান ডিজেলে" এর একটা ছবি দেখলাম, "Pitch Black"। এবং আমি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম দুইটির কাহিনী প্রায় একই শুধু কয়েকটি যায়গা ছাড়া।
আমি বুঝতে পারতেছিনা তাহোলে কি স্যার আর দশজন সাধারন লেখকের মতই লিখা শুরু করলেন ???:-/:-/:-/

হম্পম্পম্পম

না হচ্ছেন..না...
উনার মত ব্যস্ত থাকলে তারপর বুঝা যেত................কতটুকু প্রফেশনাল হয়েছেন!

অন্ধকারের গ্রহ পড়েছি, ভালোই লেগেছে। থিওরী অব রিলেটিভিটি পড়িনি, মানে এখনও পাইনি।

এভাবে "মেরে দেওয়া জিনিস" বলাটা বোধহয় ঠিক না। হাজার হোক জাফর ইকবালই এখন পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের সেরা সায়েন্স ফিকশন লেখক। কাহিনী যেখান থেকেই কপি করুক না কেন, তার লেখার স্টাইলটা তো অসাধারণ।

তবে বাঙ্গালির স্বভাব খুবই বিচিত্র। জাফর ইকবাল যতই কপি করুক সেটাতে সমস্যা নেই, সবাই তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু একই কাজ হুমায়ূন আহমেদ করলেই ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ-ধিক্কার শুরু হয়ে যাবে। এই মানসিকতার পেছনে জাফর ইকবালের রাজনীতি বিষয়ক কলাম, জামাতের বিরুদ্ধে লেখালেখি, ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব এবং তার বিপরীতে হুমায়ূন আহমেদের এসব বিষয়ে নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কোন প্রভাব আছে কিনা, কে জানে।

বড় বড় লেখকদের এতটুক দোষ দোষ না। পূর্বের অনেক নামি দামি লেখক এমনটি করেছে। এ আর এমন কি!!!

এটা আসলে অপ্রিয় সত্য।

=))=))=))=))=))=))=))

হুমম আমার মতে বইটি পুরোপুরি সর্ম্পূণ করে আবার নতুন করে প্রকাশ করলে বাংলায় ভালো একটা বই পাওয়া যাবে।