টপিকঃ সুন্দরী সেক্রেটারি,আফ্রিকার রাজা ও আমাদের হিরো
আফ্রিকার ছোট্ট এক দেশের রাজা আসলেন বাংলাদেশে। এখানে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার অনেক টাকা লগ্লী করার কথা। এমন ধনকুবের রাজার মনরঞ্জনের জন্য সে কম্পানির তরফ থেকে একজন সুন্দরী সেক্রেটারি নিয়োগ দেয়া হলো। যার কাজ রাজাকে বাংলাদেশের বিশেষ দর্শনিয় স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখানো।
তো, প্রথম দিনেই সে সুন্দরীকে দেখে রাজা তার প্রেমে পড়ে গেলেন। এবং তার কালো মুখে গদগদ হাসি ফুটিয়ে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। মেয়েটি তো পড়লো মহা বিপদে। কোম্পানি থেকে তাকে বলা হয়েছে রাজা যাতে কিছুতেই বিগড়ে না যান সেদিকে নজর রাখতে। তাই সে প্রথমে ব্যাপারটা হাসি মুখে এড়িয়ে যেতে চাইলো। কিন্তু রাজা নাছোড় বান্দা। তিনি যে কোন মুল্যে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চান।
মেয়েটি তখন একটা বুদ্ধি আঁটলো। সে রাজাকে বলল - ’দেখুন রাজা, আমার মতো সুন্দরী তো আর আপনি যেখানে সেখানে পাবেন না। তাই আমাকে বিয়ে করতে হলে আমার তিনটা ইচ্ছা আপনাকে পূরণ করতে হবে।’ রাজা জানালেন তিনি মেয়েটির যেকোন ইচ্ছা পূরণ করতে প্রস্তুত।
মেয়েটি তখন বলল - আমার প্রথম শর্ত আমার নামে সুইস ব্যাঙ্কে ১ বিলিয়ন ডলার ডিপোজিট করতে হবে।
শুনে রাজা মৃদু হাসলেন। তারপর নিজের মোবাইলটা নিয়ে কার সাথে কথা বললেন আফ্রিকান ভাষায় অনেক ক্ষণ। তারপর ফোন রেখে হেসে বললেন - ডিপোজিট হয়ে গেছে।
মেয়েটি একটু থমকে গেলেও দমল না । বলল - ঠিক আছে, এবার আমার দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরে আমার নামে একটা গোটা দ্বীপ কিনতে হবে। এবং সেই দ্বীপে এক বিশাল প্রাসাদ বানিয়ে দিতে হবে। আর সেখানে যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার, ইয়ট থাকতে হবে।
এ শর্ত শুনেও রাজার হাসি ম্লান হলো না। তিনি আবার তার মোবাইল দিয়ে কাকে ফোন করলেন। অনেক ক্ষণ আফ্রিকান ভাষায় কথা বললেন। তারপর ফোন রেখে বললেন - তোমার এ শর্তও মানা হলো। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তোমার দ্বীপ এবং প্রাসাদ আর অন্যান্য সব তুমি পেয়ে যাবে।
মেয়েটি এবার সত্যি দমে গেল। এত কঠিন শর্তেও রাজা টলছে না। সে অনেক ভেবে তার তৃতীয় শর্তটা বলল - শুনুন রাজা, আমি বাংলাদেশের নায়ক শাকিব খানের অনেক ভক্ত, আপনাকে আমার সাথে বসে প্রতিদিন একটা করে শাকিব খানের মুভি দেখতে হবে।
এবারো এ শর্ত শুনেও রাজার হাসি ম্লান হলো না , তারপর বললেন, এটাতো কিছুই না, আজকে আমরা দুই জন মিলে বসে শাকিব খানের মুভি পাঁচটা মুভি দেখব। তিনি তার মোবাইল দিয়ে কাকে ফোন করলেন, আর বললেন আফ্রিকান সাবটাইটেল সহ শাকিব খানের মুভি দেখানোর ব্যবস্থা করার জন্য।
এক নম্বর মুভি শেষ , দুই নম্বর মুভি শেষ, তিন নাম্বার মুভির অর্ধেক যখন হল তখন রাজার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল। গোমরা মুখে অনেক ক্ষণ কি ভাবলেন তিনি। চোখ থেকে তার দু'ফোঁটা অশ্রুও ঝরে পড়লো। তারপর তিনি ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললেন, এক জিনিষ আর কত দেখবো, এই হাফ লেডিস কে যদি হাতে কাছে পাই তবে আমি চিড়িয়াখানার বাঁদরের খাচায় আটকে রাখবো । তাই মনে অনেক কষ্ট নিয়ে দেশে ফিরে গেল রাজা।
তাই আমরা সবাই মিলে বলি "শাকিব খান নাম্বার ওয়ান, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান"