টপিকঃ LinuxMint নতুনদের জন্য দারুন হবে ....
১.লিনাক্সমিন্ট তৈরী করা হয়েছে উবুন্টুকে একটু ঘষে মেজে (জিনোম ভিত্তিক)। কাজেই উবুন্টুর সব সুবিধা এখানে থাকছেই (একই সফটওয়্যার রিপোজিটরি ব্যবহার করা যায়)।
২. লিনাক্সমিন্ট-৫ এর ভিত্তি উবুন্টুর হার্ডি হ্যারন। কাজেই এই সিডি থেকে বুট করলে কম্পিউটারের অন্য ড্রাইভগুলো এবং ইউ.এস.বি. পেন ড্রাইভ সবই খোলা যায়। ফলে উইন্ডোজ ব্যবহারকারী কারো পিসি থেকে ভাইরাস আদান প্রদান না করতে চাইলে এটা দিয়ে কম্পিউটার বুট করে তারপর দরকারী ফাইলগুলো পেন ড্রাইভে আদান-প্রদান করা যাবে কোন সমস্যা ছাড়াই (উবুন্টু হার্ডির মতই)।
৩. এটার বিশেষ সুবিধা হল যে এতে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য দরকারী সমস্ত কোডেক দেয়া আছে। ফলে এমনকি লাইভ সিডি থেকেও এম.পি.থ্রি. রিয়েল মিডিয়া সহ অন্য অনেকগুলো ফরম্যাটের অডিও ভিডিও চলে। কাজেই ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত ব্যবহারকারীদের জন্য এটা খুবই সুবিধাজনক।
৪. এটার ডিফল্ট ডেস্কটপটা অনেকটাই উইন্ডোজের মত। সুতরাং নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য অন্য কিছুই চিন্তা না করে অভ্যস্থ লাগবে। ডেস্কটপের নিচের দিকে একটি প্যানেলেই সমস্ত অ্যাপলেটগুলো আছে।
আরও স্ক্রীনশট দেখতে ক্লিক করুন।
৫. এতে নতুন একটা স্টার্ট মেনু আছে। যেটার নাম মিন্ট মেনু। উবুন্টুর স্টার্ট মেনু হিসেবে ডিফল্টে মেনুবার দেয়া থাকে যার ফলে প্যানেলে তিনটা মেনু দেখায়। এর বদলে যদি মেইন মেনু ব্যবহার করা হয় তবে সেটা অনেকটা উইন্ডোজ স্টার্ট মেনুর মত। তবে ওটার ছোট্ট আকারের জন্য আলাদাভাবে গুরুত্ব বোঝা যায় না। উইন্ডোজ স্টার্ট মেনুর মত চওড়া বোতাম আকারে অভ্যস্থদের জন্য এটা একটু অন্যরকম লাগে। কিন্তু মিন্ট মেনুতে সেটা প্রায় একই রকম চওড়া। এছাড়া ওটার ভেতরে সফটওয়্যার ইনস্টল/আনইনস্টল করাও খুব সোজা। মেনুর ভেতরে মাউসের রাইট ক্লিক করেই এসব কাজের একটা আলাদা মেনু পাওয়া যায়।
৬. ডেস্কটপের চেহারাও অনেকটা কেডিই/উইন্ডোজের মত। এখানে computer এবং home নামে দুটি আইকন থাকে। কম্পিউটার নামক ওটা উইন্ডোজের Mycomputerএর মত। ডবল ক্লিক করে খুললেই সমস্ত ড্রাইভগুলো দেখা যায়। কোন ড্রাইভে ডবল ক্লিক করলেই সেটাতে ব্রাউজ করা যায় (মাউন্ট হয় + ব্রাউজারে খোলে)। আর হোম টা হল উইন্ডোজ ডেস্কটপের My Documents এর মত।
৭. আরও বিস্তারিত জানতে রিলিজ নোট দেখুন। এটার সাধারণ ভার্সন ছাড়াও এটা হাল্কা ভার্সন আছে এছাড়া কম ram যুক্ত মেশিনের জন্য XFCE ভিত্তিক ভার্সনও আছে। (আমি ব্যবহার করে দেখিনি)
৮. ডাউনলোড পেজ।
মাঝে মাঝে স্বাদ পাল্টাতে ভালই লাগে। মুজতবা বেশ কিছুদিন আগে বলেছিল যে রাইফেল স্কায়ারের ভাইব মিউজিক-এ সে কিছু নতুন ডিস্ট্রো দিয়ে এসেছে। ওখান থেকে সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম গত সোমবার -- কিন্তু ঐদিন সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। তাই ডাউনলোড থেকে সিডি রাইট করে লাইভ সিডি থেকে টেস্ট করলাম। পরে অবশ্য আরেকটা কপি ঐ দোকান থেকেও সংগ্রহ করেছি। নতুন কাউকে লিনাক্সে আনতে চাইলে সরাসরি উবুন্টু দেয়ার চেয়ে লিনাক্স মিন্ট দিলে সেটা বেশি আবেদনময় হবে বলেই আমার মনে হয়।
কেউ সংগ্রহ করতে চাইলে আমাকে জানাবেন। সিডিতে বার্ন করে দিতে পারবো, কিংবা পেন ড্রাইভে নিয়ে নিজে বার্ন করে নিতে পারেন (৬৯১ মে.বা.)। আমার বাসা (সেন্ট্রাল রোড (ধানমন্ডি ল্যাব এইডের কাছে) বা অফিস (গুলশান-২) থেকে সেটা সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া মিরপুরে গেলে সেখানেও দিতে পারবো (পল্লবী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাসা)।