টপিকঃ রূপকথা - ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
ব্যাখ্যা করুন নিজের মত করে।
আমার ব্যাখ্যা আসবে পরে (সেভারাস আর হাঙ্গরিকোডার আমাকে লিখতে মানা করে )
প্রতিটি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কোন অংশ মনঃপুত না হলে প্রশ্ন করুন।
আপনি প্রবেশ করেন নি। দয়া করে নিবন্ধন অথবা প্রবেশ করুন
প্রজন্ম ফোরাম » সাহিত্য-সংস্কৃতি » রূপকথা - ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
ব্যাখ্যা করুন নিজের মত করে।
আমার ব্যাখ্যা আসবে পরে (সেভারাস আর হাঙ্গরিকোডার আমাকে লিখতে মানা করে )
প্রতিটি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কোন অংশ মনঃপুত না হলে প্রশ্ন করুন।
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল। হয়ত এটা নিছকই মজার একটা কথা, "ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল, কিছুদূর গিয়া মর্দ রওনা করিল"
আবার অন্য আতলামীয় অর্থও হতে পারে। যেমন, ঘোড়ার সামর্থ আছে দৌড়ানোর। জোরে ছুটে গন্তব্যে পৌছাতে পারে সে। তেমনি যার সামর্থ আছে কিন্তু অলস বা নিজ লক্ষে পৌছাতে গড়িমসি করে সে যেন ঘোড়ায় চড়েও হেটে যাবার মত।
আর পরের লাইনটার আতলামীয় ব্যাখ্যা হতে পারে এমন যে, আমরা অনেক সময় কাজ করি কিন্তু অনুভব করি না। করতে করতে হয়ত একসময় ফীল করি কোন কাজ। তখন সেটা সত্যিকার অর্থে করা বলা যায়। তেমনি হয়ত পথে চলছি কিন্তু জানি না লক্ষ কি, ছোটার দরকার ছুটছি। হয়ত একসময় বুঝতে পারি , তখন সেইমত কাজ করি। এটাই হয়ত কিছুদূর গিয়া রওনা করার মত।
বাহ, মনে হইতেছে আমি চাইলে বেশ আঁতেল হইতে পারিব
যে লোকটা ঘোড়ায় চড়েছে সে লোকটা ঘোড়ার চেয়ে লম্বা (লোকটার কোমরের উচ্চতা ঘোড়ার উচ্চতার চাইতে বেশী) এবং বেকুব। ঘোড়ার পিঠে বসলে ঘোড়া কষ্ট পাবে ভেবে সে ঘোড়ার পিঠে না বসে ঘোড়ার সাথে সাথে হেঁটে চলেছে।
যে লোকটা ঘোড়ায় চড়েছে সে লোকটা ঘোড়ার চেয়ে লম্বা (লোকটার কোমরের উচ্চতা ঘোড়ার উচ্চতার চাইতে বেশী) এবং বেকুব। ঘোড়ার পিঠে বসলে ঘোড়া কষ্ট পাবে ভেবে সে ঘোড়ার পিঠে না বসে ঘোড়ার সাথে সাথে হেঁটে চলেছে।
সহমত
অনুপ্রানিত হইয়া আমার প্রথম পেইন্ট শিল্পকর্ম করিলাম। জানি ইহা অতি উচ্চমানের এমনকি বোঝার সুবিধার জন্য টাইটেল দেয়া হয়েছে
http://forum.projanmo.com/uploads/335_horse.JPG
অনুপ্রানিত হইয়া আমার প্রথম পেইন্ট শিল্পকর্ম করিলাম। জানি ইহা অতি উচ্চমানের এমনকি বোঝার সুবিধার জন্য টাইটেল দেয়া হয়েছে![]()
ইশতিয়াক এবং আমান ভাই (পেইন্ট)
![]()
![]()
![]()
কোনটা ইশতিয়াক?:lol:
আমার ব্যাখ্যা আসবে পরে (সেভারাস আর হাঙ্গরিকোডার আমাকে লিখতে মানা করে
)
ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে সওয়ারী এক হাতে ধরেছে ঘোড়ার লেজ আর এক হাতে ধরেছে ঘারের পশম। ঘোড়া না দৌড়িয়ে কি পারে?
আমার ভাই তার ছবিতে ঘোড়াকে ঘোড়া আর মর্দকে মর্দ প্রমান করার জন্য যে চেস্টা চালিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য;q
শামীম ভাই,
আপনার ব্যাখ্যা আসবে কবে ? তাড়াতাড়ি করুন, মর্দ ঘোড়ায় চড়ে এক ছুটে কখন রওনা করে দিবে কে জানে?!
প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে আছি। তাই গুছিয়ে ঠিকমত লিখতে পারলাম না। তারপরেও মাথা থেকে পোকাটা বের করা দরকার ....
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
খেয়াল করার ব্যাপার এখানে দুইটা। প্রথমত: এখানে একটি বাহন বা ঘোড়া আছে আর আছে একজন মর্দ (নারী নয়, পুরুষ)। দ্বিতীয়তঃ এখানে টুইস্ট হলো ঘোড়ায়/বাহনে চড়ার পরেও মর্দ নিজে হাঁটছে। ঘোড়ার চেয়ে লম্বা ঠ্যাঙের ব্যাখ্যাটা মজার হলেও এখানে আসলে ঘোড়া আর মর্দকে একই সত্তা (Entity) বুঝানো হয়েছে। যে চালক, সে-ই বাহন।
আধ্যাত্ববাদে এই কথাটা দারুন একটা দর্শনকে তুলে ধরে। সেটা হলো ব্যক্তির আমিত্বকে ত্যাগ করার ক্ষমতা। যারা এই দুনিয়াকে প্রচন্ডভাবে আঁকড়ে ধরে, তারা এই আমিত্বকে ত্যাগ করতে পারে না। তাই বিশ্বাস করতে পারে না যে এই নশ্বর দেহ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এখানে শুধু কয়েকদিনের জন্য এই রঙ্গিলা দুনিয়া। সৃষ্টিকর্তা একটা দেহের মালিক করে দিয়েছেন তাকে সাময়িক ভাবে। এটা সম্পুর্নভাবে তার নয়। এটা তার বাহন মাত্র। কিন্তু এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে না বলে বাহনের মালিক হতে পারে না বরং বাহনে সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। এই আঁকড়ে ধরার স্বভাবটাকে বিভিন্ন দর্শনেই নারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে - আকর্ষিত সত্তা। আর যাঁরা আকর্ষনকে ত্যাগ করতে পারে তাঁদেরকে পুরুষ বা মর্দ হিসেবে বলা হয়েছে। এখানে পুরুষ/মর্দ কিংবা নারী সত্তা আদতে রক্ত মাংসের পুরুষ বা নারী না-ও হতে পারেন। এটা স্বভাবকে নির্দেশ করে। পুরুষকে মহাপুরুষ বলে অনেক সময়। আর দেহটা যেটা দেখে আমরা পুরুষ বা নারী বলি, সেটা হলো ঘোড়া বা বাহন।
কাজেই নারী ঘোড়ায় চড়তে পারে না - কারণ সে আমিত্বকে ত্যাগ করতে পারে না বা ঘোড়াটাকে সত্তা থেকে আলাদা করতে পারে না। মর্দ ঘোড়ায় চড়ে, তারপর আবার হেঁটে যায়।
(ব্যাখ্যাটা আমার বানানো নয় - একজন গুরুর কাছে থেকে শুনে, উপলব্ধি করে লেখা/বলা)
আমান লিখেছেন,
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল। হয়ত এটা নিছকই মজার একটা কথা, "ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল, কিছুদূর গিয়া মর্দ রওনা করিল" smile
আবার অন্য আতলামীয় অর্থও হতে পারে। যেমন, ঘোড়ার সামর্থ আছে দৌড়ানোর। জোরে ছুটে গন্তব্যে পৌছাতে পারে সে। তেমনি যার সামর্থ আছে কিন্তু অলস বা নিজ লক্ষে পৌছাতে গড়িমসি করে সে যেন ঘোড়ায় চড়েও হেটে যাবার মত।
আর পরের লাইনটার আতলামীয় ব্যাখ্যা হতে পারে এমন যে, আমরা অনেক সময় কাজ করি কিন্তু অনুভব করি না। করতে করতে হয়ত একসময় ফীল করি কোন কাজ। তখন সেটা সত্যিকার অর্থে করা বলা যায়। তেমনি হয়ত পথে চলছি কিন্তু জানি না লক্ষ কি, ছোটার দরকার ছুটছি। হয়ত একসময় বুঝতে পারি , তখন সেইমত কাজ করি। এটাই হয়ত কিছুদূর গিয়া রওনা করার মত।(y)
আপনারা মনে হয় সবচেয়ে সহজ ব্যাখ্যা টা ভূলে গেছেন।
লোকটা ঘোড়ায় উঠে ঘোড়াটাকে কিছুদূর হাটিয়ে নিয়ে গেল।
এর সত্যতা আমরা পেতে পারি পরের লাইন টা দেখলে (যা এখানে নাই -- 'খানিক দূর গিয়া মর্দ রোয়ানা হইল') এর মানে এস তখন ঘোড়াটাকে ছুটিয়ে দিল।
যথেষ্ট সহজ।
বিটিভিতে একটি নাটক দেখেছিলাম তবে নাটকের নাম মনে নাই।আর সেই নাটকে ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো কথাটির ব্যাখা দিয়েছিল ।ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো কথাটির অর্থ ভালবাস
বিটিভিতে একটি নাটক দেখেছিলাম তবে নাটকের নাম মনে নাই।আর সেই নাটকে ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো কথাটির ব্যাখা দিয়েছিল ।ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো কথাটির অর্থ ভালবাস
ভালবাসা
হলেও হতে পারে- রুপকথা বলে কথা।
ব্যাখ্যা করুন নিজের মত করে।
আমার ব্যাখ্যা আসবে পরে (সেভারাস আর হাঙ্গরিকোডার আমাকে লিখতে মানা করে
)
প্রতিটি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কোন অংশ মনঃপুত না হলে প্রশ্ন করুন।
ফোরামবাসী শুনুন "ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো" এটা নিয়ে আর মগজ ক্ষয়ের দরকার নেই, সমাধান আমি দিচ্ছি। আসলে আমার একটি কাঠের তৈরী টাট্টু ঘোড়া আছে যার পা গুলোতে চাকা লাগানো আর আমি ঐ ঘোড়ায় চড়ে সাইকেলের মত করে আমাদের বাড়ির কড়িডোরে চালাতাম।আমার কান্ড দেখে দাদা বাড়ির সবাইকে ডেকে বলতো মদ্দ যে ঘোড়ায় চড়ে নিজেই হাঁটছে। তখন থেকে সবাই আমাকে "ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো" বলে ক্ষেপাতো । এটাকে সাইকেল ঘোড়াও বলতে পারেন আমি মাইন্ড করবো না ।
এ কথা অর্থ হলো । মর্দ ঘোড়া নিয়ে হা্টিয়া নামক কোন জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা করিলো।
প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে আছি। তাই গুছিয়ে ঠিকমত লিখতে পারলাম না। তারপরেও মাথা থেকে পোকাটা বের করা দরকার ....
ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
খেয়াল করার ব্যাপার এখানে দুইটা। প্রথমত: এখানে একটি বাহন বা ঘোড়া আছে আর আছে একজন মর্দ (নারী নয়, পুরুষ)। দ্বিতীয়তঃ এখানে টুইস্ট হলো ঘোড়ায়/বাহনে চড়ার পরেও মর্দ নিজে হাঁটছে। ঘোড়ার চেয়ে লম্বা ঠ্যাঙের ব্যাখ্যাটা মজার হলেও এখানে আসলে ঘোড়া আর মর্দকে একই সত্তা (Entity) বুঝানো হয়েছে। যে চালক, সে-ই বাহন।
আধ্যাত্ববাদে এই কথাটা দারুন একটা দর্শনকে তুলে ধরে। সেটা হলো ব্যক্তির আমিত্বকে ত্যাগ করার ক্ষমতা। যারা এই দুনিয়াকে প্রচন্ডভাবে আঁকড়ে ধরে, তারা এই আমিত্বকে ত্যাগ করতে পারে না। তাই বিশ্বাস করতে পারে না যে এই নশ্বর দেহ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এখানে শুধু কয়েকদিনের জন্য এই রঙ্গিলা দুনিয়া। সৃষ্টিকর্তা একটা দেহের মালিক করে দিয়েছেন তাকে সাময়িক ভাবে। এটা সম্পুর্নভাবে তার নয়। এটা তার বাহন মাত্র। কিন্তু এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে না বলে বাহনের মালিক হতে পারে না বরং বাহনে সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। এই আঁকড়ে ধরার স্বভাবটাকে বিভিন্ন দর্শনেই নারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে - আকর্ষিত সত্তা। আর যাঁরা আকর্ষনকে ত্যাগ করতে পারে তাঁদেরকে পুরুষ বা মর্দ হিসেবে বলা হয়েছে। এখানে পুরুষ/মর্দ কিংবা নারী সত্তা আদতে রক্ত মাংসের পুরুষ বা নারী না-ও হতে পারেন। এটা স্বভাবকে নির্দেশ করে। পুরুষকে মহাপুরুষ বলে অনেক সময়। আর দেহটা যেটা দেখে আমরা পুরুষ বা নারী বলি, সেটা হলো ঘোড়া বা বাহন।
কাজেই নারী ঘোড়ায় চড়তে পারে না - কারণ সে আমিত্বকে ত্যাগ করতে পারে না বা ঘোড়াটাকে সত্তা থেকে আলাদা করতে পারে না। মর্দ ঘোড়ায় চড়ে, তারপর আবার হেঁটে যায়।
(ব্যাখ্যাটা আমার বানানো নয় - একজন গুরুর কাছে থেকে শুনে, উপলব্ধি করে লেখা/বলা)
আরে এভাবে তো কখনো চিন্তাই করিনি !
শামীম আপনাকে ধন্যবাদ, চিন্তা শক্তিকে প্রসারিত করার জন্য।
সত্যি চমৎকার উপলব্ধি, দারুন ।
প্রজন্ম ফোরাম » সাহিত্য-সংস্কৃতি » রূপকথা - ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিলো
০.১১২০৪৬৯৫৭০১৫৯৯ সেকেন্ডে তৈরী হয়েছে, ৮৬.৬২১৬৮০৪১০৪১৯ টি কোয়েরী চলেছে