সেভারাস লিখেছেন:একদিন পুলিশ অফিসার শাহীন একটা বাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি শুনলেন কোন এক মহিলা বলছে," রহিম সাহেব দয়া করে আমাকে মারবেন না" অফিসার শাহীন কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা গুলির আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি তখন দৌড় দিয়ে ঘরের ভেতর চলে গেলেন। সেখানে তিনি একটি মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখলেন। এরপর তিনি ঘরের মধ্যে উপস্থিত বাকি ৪ জন যাদের একজন উকিল, একজন ডাক্তার, একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ইঞ্জিয়ারের মধ্যে থেকে ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেলেন। তিনি কিন্তু সঠিক খুনিকেই ধরেছেন।
প্রশ্ন হলঃ তিনি কাউকে জিজ্ঞাসা না করে কেমনে বুঝলেন কে খুনি?
একদিন পুলিশ অফিসার শাহীন ডিউটিতে ফাঁকি দিয়ে একটি বাসার পাশ দিয়ে একাই যাচ্ছিলেন, ঐ রাস্তায় তিনি ছাড়া আর একজন মানুষও ছিলো না। বাসার ভেতরের কোন শব্দ না শুনতে পারায় তিনি বাসার দরজায় 'নক' করলে বাসার কাজের ছেলে দরজা খুলে দিলো। পুলিশ অফিসার শাহীন বললেন, "বাসার কেউ কি কোন কথা বলছে না? বাইরে থেকে তো কারো কোন কথা শোনা যাচ্ছে না।" বাসার লোকেরা বললেন, "আমরা সবাই একসাথে চুপ করে আছি। সেজন্য বাইরে থেকে আমাদের কোন কথা শোনা যাচ্ছে না।" এরপর ঐ বাসা থেকে বের হয়ে সামনের বাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়েও কোন কথা শুনতে পারায় তিনি বাসার দরজায় 'নক' করলে বাসার একজন বড় মানুষ দরজা খুলে দিলেন। পুলিশ অফিসার শাহীন বললেন, "বাসার কেউ কি কোন কথা বলছে না? বাইরে থেকে তো কারো কোন কথা শোনা যাচ্ছে না।" বড় মানুষটি বললেন, "আমরা সবাইতো ফিসফিস করে কথা বলছি, এই জন্য বাসার কোন শব্দ বাইরে শোনা যাচ্ছে না।" এরপর ঐ বাসা থেকে বের হয়ে সামনের বাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়েও কোন কথা শুনতে পারায় তিনি বাসার দরজায় 'নক' করলে বাসার এক ছেলে দরজা খুলে দিলেন। পুলিশ অফিসার শাহীন বললেন, "বাসার কেউ কি কোন কথা বলছে না? বাইরে থেকে তো কারো কোন কথা শোনা যাচ্ছে না।" ছেলেটি বিরক্ত হয়ে বললো, "আপনি কি এতক্ষণ দরজায় আড়ি পেতে ছিলেন? বাসার সবাই তো স্বাভাবিক গলায় কথা বলছে। রাস্তার মানুষদের শোনানোর জন্য কি কেউ চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলবে নাকি?" এই কথা বলে ছেলেটি দড়াম করে দরজা বন্ধ করে দিলো। এরপর তিনি ঐ বাসা থেকে বের হয়ে সামনের বাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনলেন কোন এক মহিলা গলা ফাটিয়ে চিত্কার করে বলছে, "রহিম সাহেব, দয়া করে আমাকে মারবেন না।" অফিসার শাহীন কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা গুলির আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি তখন ঐ বাসার দরজা ভেংগে দৌড় দিয়ে ঘরের ভেতর চলে গেলেন। সেখানে তিনি একটি মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখলেন। এরপর তিনি ঘরের মধ্যে উপস্থিত বাকি ৪ জন যাদের একজন উকিল, একজন ডাক্তার, একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে থেকে ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেলেন। তিনি কিন্তু সঠিক খুনিকেই ধরেছেন।
প্রশ্ন হলঃ তিনি কাউকে জিজ্ঞাসা না করে কেমনে বুঝলেন কে খুনি?
ধাঁধাঁর উত্তর -ঘরের মধ্যে তিনি ব্যবসায়ী ছাড়াও তিনটা বিড়াল দেখতে পেয়েছিলেন যাদের নাম ছিলো উকিল, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার।
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।