টপিকঃ বিদেশে পড়াশুনার জন্য যখন কোন কনসালটেন্সি ফার্মের কাছে যাবেন।
অনেকেই নিজ উদ্যোগে নিজের প্রচেষ্টায় বিদেশে পড়তে যায় তারপরেও যারা নিজেরা এটা না করে কোন স্বীকৃত কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে করাতে চান তারা নিম্নের বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখবেন।
১) যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছে, ওটার একটা প্রসপেক্টাস বিনামুল্যে সংগ্রহ করে নিম।
২) ভর্তি প্রক্রিয়া এবং লেন-দেন সংক্রান্ত একটি সার্ভিস চুক্তিপত্র উভয়পক্ষ স্বাক্ষর করবেন।
৩) যেকোন ধরনের আর্থিক লেন-দেনের ক্ষেত্রে কোম্পানীর মানি রিসিপ্ট সংগ্রহ করুন। যদি টিউশন ডিপোজিট বাংলাদেশি টাকায় স্থানীয় এজেন্টের কাছে দিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিফান্ড পলিসি ভালো করে বুঝে নিন।
৪) আপনি কিভাবে ভিসা সাক্ষাতকার দিবেন কি কি ধরনের প্রশ্ন সম্মক্ষীন হবেন, কিভাবে উত্তর করবেন এবং ভিসা সাক্ষাৎকার সংক্রান্ত যাবতীয় ইংরেজী প্রশ্ন ও উত্তর কন্সালটেন্সি ফার্ম ছাত্র ছাত্রীদের প্রশিক্ষন দিবে।
৫) ভিসা সাক্ষাৎকারের পুর্বে আপনার সমস্থ কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রশটুত হয়েছে কিনা, এগুলো কোম্পানীর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পরামর্শদাতারা পরীক্ষা করবেন।
৬) ভিসা না পেলে কতদিন পরে টিউশন দিপোজিট ফেরত পাবেন তা ভালো করে জানুন এবং চুক্তিপত্র করে নিন এজেন্টের সংগে।যদি কোন এজেন্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার ডিপোজিট রিফান্ড না করে তবে একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়ে দিন এবং প্রয়োজন বোধে স্থানীয় থানায় সাধারন ডায়েরি করুন এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে সচিব বরাবর অভি্যোগ পাঠিয়ে দিন।
৭) প্রয়োজনবোধে বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ই-মেইল কিংবা ফ্যাক্সের মাধ্যমে রিফান্ডের ব্যাপারে নিশ্চিত হন।
৮) বিজ্ঞাপবে প্রতারিত হবেন না। বাংলাদেশে অনেক কোম্পানী আজকাল লোভনীয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভিসা নিশ্চিতকরণ একশতভাগ এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। সমস্থ কিছু যাচাই করুন সতর্কতার সাথে এবং দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিন।
৯) বাংলাদেশে বেশ কিছু কোম্পানী আপনাকে বলবে অমুক এম্বাসীতে তাদের পরিচিত লোক আছে , বিশেষ যোগাযোগ আছে এবং ভিসার ১০০% নিশ্চয়তা। ভিসার পরে একটা মোটা অংকের একটা টাকা দাবি করবে তারা। মনে রাখবেন একটি কন্সালটেন্সি ফার্ম আপনার ভর্তি প্রসেস ও ভিসা আবেদনের যাবতীয় সহযোগিতা করবে। আপনি ভিসা পাবেন আপনার বুদ্ধিমত্তা স্মার্টনেস, দক্ষতা , ইংরেজি কথোপকথন ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। যদিও এজেন্ট আপনাকে এসন ব্যাপারে সর্বাত্নক সহযোগিতা করবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা বিশেষ ব্যাবস্থায় আপনার ভিসা করিয়েছে।
১০) যেসব দেশে শিক্ষার্থী ভিসায় ব্যাক্তিগত সাক্ষাৎকার লাগে না সেক্ষেত্রে ওই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় ভিসা প্রাপ্তির ব্যাপারটা নিশ্চিত করে থাকে। তবে প্রয়োজনীয় এবং সঠিক কাগজপত্র পেশ করলে ভিসা প্রাপ্তির সমুহ সম্ভাবনা থাকে।
১১) কন্সালটেন্সি ফার্মটি কোনো স্বিকৃতপ্রাপ্ত বিদেশী এক্রিডেশন কাউন্সিলের সদস্য কিনা দেখে নিন। স্থানীয় ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামুলক। পুর্ববর্তিতে কোনো শিক্ষার্থী এই কোম্পানীর থেকে বিদেশে পরাশুনার জন্য গিয়েছে কিনা। এবং তারা বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈধ প্রতিনিধি কিনা, এসব বিষয়ে প্রথবে নিশ্চিত হন।
অফটপিকঃ আমি যখন এটা লিখতেছি তখনা আমার পা পানিতে ডুবে আছে। তবে চিন্তার কিছু নাই মালামাল নিরাপদ। সুমনরে এখন ঘুম থেকে তোলা দরকার।