টপিকঃ বুড়া শয়তান।
আমাদের বাসার সামনের মোড়ে আ্ন্নার চায়ের দোকান । আগে ওর বাপ দোকানটা চালাতো । এখন বুড়া হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা পরিচালনার ভার আন্নার উপর পরেছে। সবই ঠিকঠাক মতো চলছে, কিন্তু সমস্যা হয়েছে আন্নার ৬০ বছরের বুড়া বাপের।তার কোন কাজকাম নাই। সারাদিন মোড়ে বসে থাকে আর কামনাভরা চোখে পাড়ার মেয়েদের আসা্যাওয়া দেখে।কেউ তার চোখ ফাকি দিতে পারেনা । পাড়ার উঠতি বয়সি মেয়ে , ভাবী, আন্টি, বুয়ারা কেউই বাদ যায় না। আরো দু তিন জন বুড়া শয়তান আছে তার বন্ধু। সারাদিন মোড়ে বসে নিচু স্বরে কথা বলা আর ঢুলুঢুলু চোখে মেয়ে দেখাই তাদের একমা্ত্র কাজ। তাদের এরকম স্বভাবের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি কিন্তু এই ফালতু ব্যাপারটা কোনদিন পাত্তা দেইনি।
বিকালবেলা আড্ডার সময় রুহুলভাই মাঝেমাঝেই চিল্লাচিল্লি করে করে " দেখছো, হারামজাদা বুড়া কি ভাবে ঐ মেয়ে বয়সি মেয়েটাকে দেখছে। হারামজাদার পাছায় কষে এক লাথি দেব একদিন ।" আমরা তাকে শান্ত করি " ভাই বাদ দ্যান, ঐ ব্যাটার দেখা ছারা আর কিছু করার শক্তি সাহস কোনটায় নাই। বেটা বু্ড়া হয়েছে তো কি তার কোন শখ নাই?? "
কিন্তু বুড়া যে কত শয়তান তা আমাদের ধারনা ছিলোনা । মোড়ের কাছেই "সরকারি পশু হাসপাতাল" অনেক খোলা যায়গা থাকায় মাঝেমাঝে আড্ডা মারি।ওখানে কিছু স্টাফ থাকে তাদের রান্নাবান্না করার জন্য একটা মেয়ে নিছে বয়স ১৫/১৬ হবে । একদিন মেয়েটা মাথা নিচু করে আমাদের সামনে এসে এমন কান্না শুরু করলো যে কি আর বলবো। কান্নার কারন হলো, প্রা্য়দিনই নাকি ঐ বড়া শয়তান তাকে ১০০/২০০ টাকার নোটের লোভ দেখিয়ে কু প্রস্তাব দিচ্ছে।
কি অবস্হা বলেন । মাথা কি ঠিক থাকে? আমাদের সবারই বেশ রাগ হলো বুড়া বদমায়েশের উপর।
আমি মেয়েটাকে বললাম , "তুমি একটু সাহস করলে ব্যাটাকে উচিত সাজা দেয়া যাবে। শুনবা আমার কথা?"
মেয়েটা লজ্জায় মাথা নিচু করে ছিলো । কিছু বলেও নি শুধু হা সুচক মাথা নাড়ালো।
আমি তারে বললাম
"টাকা দেখালে সাথে সাথে নিয়ে নিবা।( সবই তো চুরি করা টাকা। আন্না যখন মাল কিনতে বাজারে যায় সেই আধা ঘন্টা এক ঘন্টায় বুড়া ক্যাশের টাকা সরায়) ভাব দেখাবা তুমি রাজি কিন্তু কাজ হবে বিকালে (মানে আমরা যে সময়টায় থাকি সে সময়) রান্না ঘরে তোমার সাথে থাকবে লাঠি । বুড়া আসলেই চোখবন্ধ করে শুরু করবে উত্তম মধ্যম। আর আমরা ধুমধাম শুরু হলেই ঘটনাস্হলে উপস্হিত হবো আন্না কে সাথে নিয়ে (আন্নাকে ডাকলেই চলে আসবে এমনিতে তো চা দিতে আসেই)। তাহলে ঘটনাটা মানুষ জানবে না এবং বুড়া শয়তানের উচিত শিক্ষা হবে
মেয়েটা রাজি হয়েছিল কিন্তু আমাদের আর সে রকম পরিবেশ তৈরী করার মতো সময় হয়নি।
কিছুদিন পর মেয়েটা সন্মানের ভয়ে কাজ ছেড়ে চলে গেছে।
বুড়া শয়তান দিব্যি মোড়ে বসে এখনও কামনা ভরা চোখে মেয়ে দ্যাখে। তাকে দেখলেই আমার গা জ্বলে যায়।
শালারে ব্রাশ ফায়ার করতে ইচ্ছা করে।