টপিকঃ ব্যাটারী টিপস
আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা, লিথিয়াম ব্যাটারীর finite ক্যাপাসিটি থাকে। যেমন ল্যাপটপের ব্যাটারীগুলোতে (মোবাইলেরও একই রকম হয় সম্ভবত:) সাধারণত: সর্বোচ্চ ৩০০টি charge-recharge cycle-এর গ্যারান্টী দেয়। ৩০০ cycle হয়ে যাবার পর ব্যাটারীর ক্ষমতা কমতে থাকে - এবং এক পর্যায়ে এসে ব্যাটারী রিপ্লেস করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। (ব্যাটারী খুলে সেলগুলো আবার রিক্যালিব্রেট করা যায় - কিন্তু এই টেকনিক দেশে খুব বেশি কেউ করতে পারবেনা, বা করলেও অপ্টিমাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে না)
নতুন কোন ডিভাইস কেনার পর ব্যাটারী কন্ডিশনিং করতে হয় সেটাও আমরা অনেকেই জানিনা। কন্ডিশনিং না করলে শুরু থেকেই ব্যাটারীর ক্ষমতা অনেক কমে যায়।
বাক্স থেকে খোলার পর ডিভাইসটি (ল্যাপটপ, মোবাইল, আইপড... anything that comes with a rechargable Li ion battery) চার্জে দিন - ফুল চার্জ হতে কত ঘন্টা লাগে সেটি ম্যানুয়াল থেকে দেখে নিন।
ফুল চার্জ হয়ে গেলে এবার ব্যাটারী দিয়ে ডিভাইসটি ব্যবহার করুন যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরো ব্যাটারী ড্রেইন হয়ে যায়। এই সময়টা কিছু টেকনিক অবলম্বন করে আমরা কমাতে পারি - যেমন ল্যাপটপে ডিভিডি মুভি চালিয়ে দিন, খুব তাড়াতাড়ি ব্যাটারী শেষ হয়ে যাবে। মোবাইল, এমপি৩ প্লেয়ারে এফএম রেডিও, গান বা ভিডিও চালান অনবরত।
নিজে থেকে ডিভাইসটি বন্ধ করবেন না। ব্যাটারীর চার্জ ক্রিটিকাল লেভেলে নেমে গেলে অটোশাটডাউন হয়ে যাবে।
এরপর আবার ফুল রিচার্জ করুন। কমপক্ষে ৩-৫বার charge-drain-recharge সাইকল কমপ্লিট করুন। এর ফলে ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি একটি অপ্টিমাল লেভেলে চলে আসবে - এটাকেই বলে ব্যাটারীর কন্ডিশনিং বা ট্রেনিং।
প্রসন্গত: কন্ডিশনিং করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন কিনা, আমাদের দেশে রাত ১২টার পর করলে ভালো। এ ব্যাপারে একটি ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স আছে... কয়েকদিন আগে আমার নিজেরই ব্যাটারী নষ্ট হয়ে গেছিলো বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে।
ল্যাপটপের ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি কমতে কমতে ৬০%-এ নেমে গেছিলো (ব্যাটারীর ক্ষমতা আসলে কত সেটা উইন্ডোজ লুকিয়ে রাখে, তবে লিনাক্সে সরাসরি দেখা যায়)। নেট থেকে ব্যাটারী রিকেলিব্রেট করার একটি সফটওয়্যার নামিয়ে, কাজ চালিয়ে দিলাম রাত ১টার দিকে; ভেবেছিলাম এত রাতে নিশ্চয়ই লোডশেডিং হবেনা, ২.৫-৩ ঘন্টার মত সময় লাগে পুরো প্রসেস সম্পন্ন হতে। রিকেলিব্রেশন শুরু হবার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই পাওয়ার ফেইল্যুর হয়। সকালে উঠে দেখি ৬০% তো দুরের কথা, ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি রাতারাতি ৩০%-এ নেমে গেছে!